reebokcrossfitone.com
RSS

Ajob Rahasya – A Magazine For Super Positive People

March 30, 2023 by maximios • Quotes

30 Best Sheikh Hasina Quotes In Bengali | শেখ হাসিনার উক্তি

March 30, 2023 by maximios • Quotes

 শেখ হাসিনার উক্তি
30 Best Sheikh Hasina Quotes In Bengali

Inspirational Quote #1

“সব হারিয়ে আমার শুধু দেবার পালা, মানুষের জন্য করে যাচ্ছি। দেশের মানুষের জন্য যা ত্যাগ করার করবো, আমি জীবন দিতেও প্রস্তুত” – Sheikh Hasina

Inspirational Quote #2

“কী পেলাম, কী পেলাম না, সে হিসাব মেলাতে আমি আসিনি। কে আমাকে রেকোগনাইজ করলো আর কে করলো না, সে হিসাব আমার নাই। একটাই হিসাব, এই বাংলাদেশের মানুষ, তাদের ভাগ্য পরিবর্তনে কিছু কাজ করতে পারলাম কি না, সেটাই আমার কাছে বড়” – Sheikh Hasina

Inspirational Quote #3

“অসুস্থ হলে আমাকে বিদেশে নিবেন না, আমি দেশের মাটিতেই চিকিৎসা নিব” – Sheikh Hasina

Inspirational Quote #4

“বাঙালি ঐক্যবদ্ধ হলে অসাধ্য সাধন করতে পারে” – Sheikh Hasina

Inspirational Quote #5

“অনেক রক্ত আর ত্যাগ তিতিক্ষার বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের এই স্বাধীনতা। কাজেই এ দায়িত্ব পালনে সেনাবাহিনীর সজাগ ও সদা প্রস্তুত থাকতে হবে। যাতে এই স্বাধীনতা নিয়ে যেন কেউ ছিনিমিনি খেলতে না পারে” – Sheikh Hasina

Inspirational Quote #6

“বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে বাংলাদেশ আরো আগেই একটি উন্নত দেশে পরিনত হত” – Sheikh Hasina

Inspirational Quote #7

“সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ সৃষ্টিকারীরা যেন ক্ষমতায় এসে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা ব্যাহত করতে না পারে। সেজন্য প্রত্যেককে সজাগ থাকতে হবে” – Sheikh Hasina

Inspirational Quote #8

“আমার কাছে ক্ষমতা মানেই হচ্ছে জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন করা। জনগণের জন্য নিঃস্বার্থভাবে কাজ করা” – Sheikh Hasina

Inspirational Quote #9

“ব্যবসা করতে আসিনি, দেশ গড়তে এসেছি” – Sheikh Hasina

Inspirational Quote #10

“যদি আলোচিত হতে চাও, সমালোচনা কে ভয় করো না| মনে রেখো সমালোচনাও এক প্রকার আলোচনা” – Sheikh Hasina

Inspirational Quote #11

“আমি শান্তি চাই, প্রধানমন্ত্রীত্ব চাই না” – Sheikh Hasina

Inspirational Quote #12

“আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশের জনগণ কিছু পায় আর বাকি সবাই লুটে খায়” – Sheikh Hasina

Inspirational Quote #13

“আমার বেয়াই রাজাকার হলেও যুদ্ধাপরাধী নয়” – Sheikh Hasina

Inspirational Quote #14

“আমার চেয়ে বেশী দেশপ্রেমিক আর কে আছে?” – Sheikh Hasina

আরো পড়ুন: হুমায়ুন আজাদের জীবনী

Inspirational Quote #15

“মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানকে সমর্থনকারী শক্তিধর দেশের শিকার হয়েই বঙ্গবন্ধুকে জীবন দিতে হয়েছে” – Sheikh Hasina

Inspirational Quote #16

“দেশের মানুষ এখন চার বেলা খাচ্ছে” – Sheikh Hasina

Inspirational Quote #17

“দেশে এখন কোনো বিদ্যুৎ ঘাটতি নেই। মানুষের যাতে মনে থাকে যে আগে লোডশেডিং ছিলো সেজন্য আমি ইচ্ছে করে লোডশেডিং করার নির্দেশ দিয়েছি” – Sheikh Hasina

Inspirational Quote #18

“বিরোধী দলে গেলে কখনো হরতাল করবো না” – Sheikh Hasina

Inspirational Quote #19

“আমার মন্ত্রীরা কথায় নয়; কাজে স্মার্ট” – Sheikh Hasina

Inspirational Quote #20

“প্রতিবেশীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা, সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বিদ্বেষ নয় আমার সারা জীবনের লক্ষ্য এটা” – Sheikh Hasina

Inspirational Quote #21

“আমার ৭২ বছর বয়সের ৬০ বছরই কেটেছে রাজনীতিতে। স্কুল থেকে রাজনীতি শুরু করেছি এখনো অব্যাহত আছে। রাজনীতিতে কে কী করেছে অনেক ঘটনা চোখে দেখেছি” – Sheikh Hasina

Inspirational Quote #22

“ডাক্তাররা রোগীকে মেরে ফেলতে চান না। রোগীর জন্য অনেক ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেন” – Sheikh Hasina

Inspirational Quote #23

“বাঙালী জাতি এখন বিশ্বে মাথা উঁচু করে চলছে, আগামীতেও মাথা উঁচু করে চলবে, সেটাই হবে আমাদের আজকের দিনের প্রতিজ্ঞা” – Sheikh Hasina

Inspirational Quote #24

“আমি নিজে নিয়মিত নামাজ পড়ি, কোরান থেকে তেলওযাৎ করে দিনের কাজ শুরু করি। আমি জানি, নবী করিম বলেছেন, ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করা যাবে না” – Sheikh Hasina

Inspirational Quote #25

“মুক্তচিন্তার নামে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত বিকৃত রুচি” – Sheikh Hasina

Inspirational Quote #26

“মেয়েরা ১০ গোল দেয়, ছেলেরা ৫ গোল খেয়ে আসে” – Sheikh Hasina

Inspirational Quote #27

“আজ বিশ্বায়নের যুগে এককভাবে কোনো কিছু করা কষ্টকর। এর চেয়ে সহযোগিতা ও সহায়তা অনেক কিছুকে সহজ করে তুলতে পারে” – Sheikh Hasina

Inspirational Quote #28

“সমাজে অসৎ পথে অর্থ উপার্জনের হার বেড়ে গেলে যেসব ব্যক্তি বা তাঁদের সন্তানেরা সৎ পথে জীবন নির্বাহ করতে চান, তাঁদের জন্য সেটা কঠিন হয়ে পড়ে। সৎভাবে চলতে গেলে একজনকে বেশ কিছু সীমাবদ্ধতা নিয়ে চলতে হয়। আর অসৎ উপায়ে উপার্জিত অর্থ দিয়ে এই ব্র্যান্ড–ওই ব্র্যান্ড, এটা-সেটা, হইচই, খুব দেখানো যায়। ফলাফলটা এই দাঁড়ায়, একজন অসৎ মানুষের দৌরাত্ম্যে যাঁরা সৎ জীবন যাপন করতে চান, তাঁদের জীবনযাত্রাটাই কঠিন হয়ে পড়ে” – Sheikh Hasina

আরো পড়ুন: হুমায়ূন আহমেদের উক্তি

Inspirational Quote #29

“মৃত্যুকে মুঠোয় নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি” – Sheikh Hasina

Inspirational Quote #30

“আমি আছি তাই বাংলাদেশ নিরাপদে আছে। আমার চোখ বন্ধ হলে কী হবে তা আল্লাহ রাব্বুল আলামিন জানেন” – Sheikh Hasina

আশা করি তুমি “Sheikh Hasina Quotes In Bengali” পড়ে নিশ্চই অনেক কিছু সুন্দর তথ্য সম্পর্কে জানতে পেরেছো | পোস্টটা ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই একটু Comment করে তোমার মতামত আমায় জানিও | তোমার মূল্যবান মতামত আমাকে বাড়তি অনুপ্রেরণা যোগাতে ভীষনভাবে সাহায্য করে |

শেয়ার করুন: on Twitter on Facebook on Google+

সুকুমার রায়ের জীবনী | Sukumar Roy Biography in Bengali

November 27, 2022 by maximios • Quotes

নাম

সুকুমার রায়/Sukumar Ray

জন্ম

৩০শে অক্টোবর ১৮৮৭ (কোলকাতা)

অভিভাবক

উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর (বাবা)
বিধুমুখী দেবী (মা)

দাম্পত্যসঙ্গী

সুপ্রভা দেবী

সন্তান

সত্যজিৎ রায়

জনপ্রিয় সাহিত্যকর্ম

আবোল তাবোল, হ-য-ব-র-ল, পাগলা দাশু, কাতুকুতু বুড়ো, হুঁকো মুখো হ্যাংলা ইত্যাদি

জাতীয়তা

ভারতীয়

ধর্ম

হিন্দু

ছদ্দনাম

উহ্যনাম পণ্ডিত

মৃত্যু

১০ই সেপ্টেম্বর, ১৯২৩

মৃত্যুস্থান

১০০ নং গড়পার রোড, কোলকাতা

ব্লগটা পড়তে ভালো লাগছেনা? কোনো সমস্যা নেই তাতে | তুমি চাইলে আমার এই অডিও পডকাস্টটা শুনতে পারো | আর হ্যাঁ আমার এই পডকাস্ট শোকে follow করার জন্য ক্লিক করো এখানে…

বাংলা সাহিত্যে সুকুমার রায় হলেন এমন একজন ব্যক্তিত্ব, যার লেখা অসাধারণ কিছু সাহিত্যকর্ম আজও প্রত্যেক বাঙালীর মনে অমর হয়ে আছে | বিংশ শতাব্দীর ভারত তথা বাংলা সাহিত্য জগতে তিনি হয়ে ওঠেন এক নবদিগন্তের পথিক |  কবি, গল্পকার ও সাহিত্যিক সুকুমার রায় ভারতীয় উপমহাদেশে সর্বপ্রথম সার্থকভাবে; অদ্ভুত এক সাহিত্য রীতির প্রবর্তন করেন যা প্রত্যেক বয়সের পাঠকদের মন কাড়তে সমানভাবে সক্ষম হয় |

Sukumar Roy Life History:

সুকুমার রায়ের জন্ম হয় ১৮৮৭ সালের ৩০শে অক্টোবর, কোলকাতার এক ব্রাহ্ম পরিবারে | তাঁর বাবার নাম ছিলো উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী, যিনি কিনা বাংলার একজন বিখ্যাত শিশুসাহিত্যক ছিলেন আর মা বিধুমুখী দেবী ছিলেন ব্রাহ্মসমাজের প্রধান সংস্কারক দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যায়ের মেয়ে |

তুমি কি জানো, সুকুমার রায়ের আদি বাড়ি কোথায় ছিলো?

তাঁর আদি বাড়ি ছিলো বর্তমান বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলার মসূয়া গ্রামে | তাঁর মোট ২জন ভাই ও ৩জন বোন ছিলো, যাদের নাম যথাক্রমে- সুবিনয়, সুবিমল, সুখলতা,  পুণ্যলতা ও শান্তিলতা ছিলো |

সুকুমার রায়ের, মহান সাহিত্যিক হয়ে ওঠার পিছনে তাঁর পরিবারের কিন্তু অবদান ছিলো প্রচুর | কারণ তাঁর পারিবারিক পরিবেশ ছিলো একদম সাহিত্য অনুরাগী, যার সুবাদে তাঁর মধ্যকার সাহিত্যিক প্রতিভার বিকাশ ঘটে |

Photo of Sukumar Roy (Credit:Wikipedia)

শোনা যায়, তিনি নাকি ছোটবেলা থেকেই মুখে মুখে নানা ধরণের ছড়া তৈরি করে ফেলতেন অনায়াসেই | এমনকি গান গাইতেন, নাটক করতেন আর কবিতাও লিখতেন | এক কথায় যদি বলতে হয় তাহলে সেইসময় থেকেই তিনি একধরনের মজাদার গোছের মানুষ ছিলেন এবং সবাইকে নেতৃত্ব দিতে খুব ভালোবাসতেন |

তাঁর বোন পুণ্যলতা তাঁর সম্পর্কে একসময় বলেছিলেন- “দাদা যেমন আমাদের খেলাধুলা ও সব কিছুরই পাণ্ডা ছিলো, তেমনি বন্ধুবান্ধব ও সহপাঠীদের মধ্যেও সে সর্দার ছিলো । তার মধ্যে এমন কিছু বিশেষত্ব ছিল যারজন্য সবাই তাকে বেশ মানতো । এমনকি বড়রাও তার কথার বেশ মূল্য দিতো”

Sukumar Roy Education:

চলো বন্ধু, এবার তবে জেনেনি সুকুমার রায়ের শিক্ষাজীবন সম্পর্কীয় কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সম্পর্কে |

সাহিত্যিক সুকুমার রায়, কলকাতার সিটি স্কুল থেকে এন্ট্রাস পাশ করেন এবং তারপর কোলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ১৯০৬ সালে রসায়ন ও পদার্থবিদ্যায় অনার্স লাভের পর, তিনি মুদ্রণবিদ্যা সম্পর্কে উচ্চতর শিক্ষালাভের জন্য ১৯১১ সালে বিদেশে যান |

সেখানে যাওয়ার পর তিনি ফটোগ্রাফি এবং মুদ্রণ প্রযুক্তির ওপর পড়াশোনা করেন |

সুকুমার যখন ইংল্যান্ডে পড়াশোনা করছিলেন, সেইসময় অন্যদিকে তাঁর বাবা উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী জমি কিনে একটা  উন্নত-মানের রঙিন হাফটোন ব্লক তৈরি করেন এবং সেইসাথে নিজস্ব ছাপাখানাও স্থাপন করেন |

এইসবই তিনি তৈরী করেছিলেন ছোটদের জন্য একটা মাসিক পত্রিকা “সন্দেশের”, প্রকাশনার উদ্দেশ্যেই | কিন্তু ১৯১৩ সালে ইংল্যান্ড থেকে পড়াশোনা শেষ করে সুকুমার রায় যখন কোলকাতায় ফিরে আসেন, তার ঠিক অল্প কিছুদিনের মধ্যেই তাঁর বাবা উপেন্দ্রকিশোরের মৃত্যু হয় |

বাবার মৃত্যুর পর একজন দায়িত্ববান ছেলে হিসাবে এরপর তিনিই সন্দেশ পত্রিকার সম্পাদনার দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন এবং সেই পত্রিকাতেই নিজের অভূতপূর্ব সাহিত্যকর্ম গুলো একে একে প্রকাশ করতে থাকেন |

দেখতে দেখতে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই সুকুমার রায়, অল্পবয়সী পাঠকদের মাঝে এক প্রিয় পাত্র হয়ে ওঠেন এবং সেইসাথে প্রচুর মধ্যবয়সী পাঠকদের কাছেও সমান জনপ্রিয়তা লাভ করতে সক্ষম হন|

বাবার মৃত্যুর পর আট বছর ধরে তিনি এই সন্দেশ পত্রিকার ও পারিবারিক ছাপাখানা পরিচালনার দায়িত্ব পালন করেন | তারপর সেইসবের দায়িত্ব তিনি আসতে আসতে তাঁর ছোটভাইকেই সম্পূর্ণরূপে দিয়ে দেন |

Sukumar Roy Work Life:

সুকুমার রায়ের কর্মজীবন সম্পর্কে বলার আগে এই তথ্য সম্পর্কে তোমার অবশ্যই জেনে রাখা দরকার | প্রেসিডেন্সি কলেজে পড়ার সময়ই তিনি কিন্তু গড়ে তুলেছিলেন, “ননসেন্স ক্লাব” | এই ক্লাবের মুখপত্র ছিল হাতে লেখা কাগজ-“সাড়ে বত্রিশ ভাজা” |

জানা যায়, সাড়ে বত্রিশ ভাজার পাতাতেই নাকি সুকুমার রায় জীবনের সর্বপ্রথম নিজের রচিত হাস্যরসযুক্ত কিছু লেখা প্রকাশ করেন | আর এই ক্লাবের জন্য তিনি দুটো নাটকও রচনা করেছিলেন, যেগুলোর নাম যথাক্রমে ছিলো- “ঝালাপালা”  ও “লক্ষণের শক্তিশেল” |

ক্লাবের সদ্যসের নিয়েই তিনি, এই দুটো নাটককে সবার মাঝে পরিবেশন করেন | আর তুমি হয়তো বললে এটা বিশ্বাস করবেনা, ননসেন্স ক্লাবের প্রতিটা নাটক দেখার জন্য, সেইসময়কার প্রচুর ছেলে ও বুড়োরা ভীষন ভিড় জমাতো এবং তাদের সবারই পছন্দের নাট্যকার ছিলেন সুকুমার রায় |

আরো পড়ুন: সৌরভ গাঙ্গুলীর জীবনী

তাঁর বোন পুণ্যলতা এই নাটক সম্পর্কে একদা লিখেছিলেন –

“বাঁধা স্টেজ নেই, সীন নেই, সাজসজ্জা ও মেকআপ বিশেষ কিছুই নেই, শুধু কথা,সুরে,ভাবে, ভঙ্গিতেই তাদের অভিনয়ের বাহাদুরি ফুটে উঠতো, দাদা নাটক লিখতো, অভিনয় শেখাতো । হাঁদারামের অভিনয় করতে দাদার জুড়ি কেউ ছিল না । অভিনয় করতে ওরা নিজেরা যেমন আনন্দ পেতো, তেমনি সবাইকে আমোদে মাতিয়ে তুলতো । চারিদিকে উচ্ছ্বসিত হাসির স্রোত বইয়ে দিতো ।  ননসেন্স ক্লাবের অভিনয় দেখার জন্য সবাই উৎসুকও হয়ে থাকতোও”

এইসব নাটক করা ছাড়াও, সন্দেশের সম্পাদক থাকাকালীন তাঁর লেখা ছড়া, গল্প ও প্রবন্ধ সবারই ভীষন পছন্দের ছিলো, যা আমি আগেই তোমাকে বলেছি | আজও বাংলা শিশুসাহিত্যে তাঁর রচিত সব  সাহিত্যকর্মই মাইলফলক হয়ে আছে আর ভবিষ্যতেও একই থাকবে |

তোমাকে তো আমি এটাও আগে বলেছিলাম যে তিনি, প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে অনার্স করার পর ইংল্যান্ডে পড়তে যান |

এরপর সেখান থেকে ফিরে এসে তিনি আবারও “মনডে ক্লাব” নামে ননসেন্স ক্লাবেরই মতো একই ধরণের আরেকটা ক্লাব খুলেছিলেন | এই ক্লাবের সাপ্তাহিক সমাবেশে, সদস্যরা সব বিষয় সম্পর্কেই আলোচনা করতেন ।

সুকুমার রায় এই সাপ্তাহিক সভার কয়েকটি আমন্ত্রণপত্র মজার ছড়ার আকারে তৈরীও করেছিলেন | সেগুলোর বিষয়বস্তু ছিল মূলত উপস্থিতির অনুরোধ এবং বিশেষ সভার ঘোষণা ইত্যাদি ।

Sukumar Roy & Brahmo Samaj:

সাংস্কৃতিক কাজকর্ম ছাড়াও সুকুমার কিন্তু ছিলেন ব্রাহ্মসমাজের সংস্কারপন্থী গোষ্ঠীর এক তরুণ নেতা | এই ব্রাহ্মসমাজ সম্পর্কে তৎকালীন সময়ে সবাই বলতো যে, এই সংগঠনের সদস্যরা মূলত একেশ্বরবাদী ও অদ্বৈতবাদী হিন্দু পুরান ও উপনিষদের মতাদর্শে বিশ্বাসী ছিলেন |

এঁদের সমাজ সংস্কার বিষয়ক কাজকর্ম ও রীতিনীতি বাকিদের থেকে অনেক আলাদা ছিলো |

সুকুমার রায়, ব্রাহ্ম সমাজের ইতিহাসকে সরল ভাষায় প্রত্যেকের মাঝে তুলে ধরার উদ্দেশ্যে “অতীতের কথা” নামক একটা কাব্য রচনা করেন | এছাড়াও তিনি ছোটদের মধ্যে ব্রাহ্ম সমাজের মতাদর্শের উপস্থপনা করার লক্ষে সেই কাব্যকে বইয়ের আকারে প্রকাশও করেছিলেন |

Sukumar Roy & His Marriage life:

ইংল্যান্ডে থেকে নিজের পড়াশোনা শেষ করার পর, দুই মাসের মধ্যেই সুকুমারের বিয়ে হয় জগৎচন্দ্র দাশের মেজ মেয়ে সুপ্রভা দেবীর সঙ্গে | তাঁর ডাক নাম ছিল টুলু |

শোনা যায়, সুকুমার রায়ের বাবা উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে বিয়েতে উপস্থিত থাকার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করেন । কিন্তু রবীন্দ্রনাথ তাঁকে চিঠি দিয়ে জানান, শিলাইদহে জমিদারীর কাজে ব্যস্ত থাকার দরুন তিনি হয়তো তাঁর ছেলের বিয়েতে উপস্থিত থাকতে পারবেন না । কিন্তু অবশেষে শেষ পর্যন্ত রবীন্দ্রনাথ, সুকুমার রায়ের বিয়েতে এসেছিলেন ।

Sukumar Roy & Suprabha Ray (Credit:Wikipedia)

এরপর বিয়ের ঠিক ৮ বছর পর অর্থ্যাৎ ১৯২১ সালের ২রা মে তারিখে সুপ্রভা দেবী তাঁর একমাত্র পুত্রসন্তানের জন্ম দেন | যার নাম দেওয়া হয়েছিলো সত্যজিৎ | যিনি পরবর্তীকালে বাংলা তথা ভারতীয় সিনেমা জগতের এক উজ্জ্বল জ্যোতিষ্ক হয়ে ওঠেন, যা আমরা হয়তো প্রত্যেকেই জানি |

আরো পড়ুন: সত্যজিৎ রায়ের জীবনী

Some Famous Works of Sukumar Roy Are:

আবোল তাবোল (১৯২৩)পাগলা দাশু (১৯৪০)হেশোরাম হুশিয়ারের ডায়েরি খাই-খাই (১৯৫০) হ য ব র ল (১৯২৮) শব্দ কল্প দ্রুম

চলচ্চিত্রচঞ্চরী

ক্যারিমিনাটির সংক্ষিপ্ত জীবনী | Biography of CarryMinati in Bengali

November 25, 2022 by maximios • Quotes

নাম অজয় নাগাড় / Ajey Nagar
ছদ্দনাম CarryMinati
অভিভাবক বিবেক নাগাড় (বাবা)
*মায়ের নাম জানা নেই
বড় দাদা ইয়াশ নাগাড়
জন্ম ১২ই জুন ১৯৯৯, হারিয়ানা, ফরিদাবাদ
জাতীয়তা ভারতীয়
কর্ম ইউটিউবার (২০১৪-এখনো)
শিক্ষাগ্রহন দিল্লি পাবলিক স্কুল,ফরিদাবাদ


ক্যারিমিনাটির সংক্ষিপ্ত জীবনী

Biography of CarryMinati in Bengali

CarryMinati ওরফে অজয় নাগাড় আজ ভারতবর্ষের এক অতি পরিচিত নাম। তিনি বর্তমানে ভারতের সব সফল ইউটিউবারদের মধ্যে একজন। তিনি হচ্ছেন ভারতের এমন একজন ইউটিউবার যিনি কিনা সর্বপ্রথমবারের জন্য ভারতে, ভিডিওর মাধ্যমে কাউকে রোস্টিং করার কালচারকে তুলে ধরেছিলেন দর্শকদের মাঝে। এর আগে পর্যন্ত ভারতবর্ষে এইরকম ধরনের ভিডিও কনটেন্টের বিশেষ চল ছিলোনা।

আজকে তার এই সফলতার পিছনে তার অনেক বড় ব্যর্থতাগুলোও লুকিয়ে আছে।

তুমি এটা মোটেও ভেবো না যে, Carry এক চান্সে আজ সফলতার শীর্ষে উঠে গেছেন। তা কিন্তু মোটেই নয়। অনেকবারই তাকে ব্যর্থতার সম্মুখীন হতে হয়।

Early Life of CarryMinati:

অজয় নাগাড়ের জন্ম হয় ১২ই জুন ১৯৯৯ সালে, হরিয়ানার ফরিদাবাদ জেলায়। তার বাবার নাম হল বিবেক নাগাড় এবং বড় ভাইয়ের নাম হল ইয়াশ নাগাড়। তার বড় ভাই ইয়াশ একজন মিউজিক প্রডিউসার। তারও একটি ইউটিউব চ্যানেল আছে, যেটার নাম Wily Frenzy.

CarryMinati With His Family

অজয়ের প্রাথমিক শিক্ষা শুরু হয় দিল্লি পাবলিক স্কুল থেকে। এতো ভালো স্কুলে পরেও তিনি পড়াশোনায় তার তেমন কোনো ইন্টারেস্ট আনতে পারেননি। তিনি সেই ছোট বয়স থেকে সর্বদাই কিছু নতুন করার জন্য মরিয়া হয়ে থাকতেন।

চিরাচরিত পদ্ধতিতে নিজের জীবনকে প্রতিষ্ঠিত করতে তার মন যেন কিছুতেই চাইতো না।

Career of CarryMinati:

মাত্র ১০-১১ বছর বয়সে তিনি একটা ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করে ফেলেন সাধারন ঝোঁকের বশেই। সেখানে তিনি এরপর নানা ধরনের ভিডিও আপলোড করা শুরু করেন। কখনো তিনি সেখানে গেমিং ভিডিও আপলোড করতেন আবার কখনো ফুটবল ট্রিকস ভিডিও। চেষ্টা তিনি মোটেই ছাড়তেন না সেই চ্যানেলকে গ্রো করার। আর সত্যি কথা বলতে এইকাজে তার মনও লাগতো পড়াশোনার অপেক্ষা অনেক বেশি।

তার প্রথম সেই চ্যানেলটার নাম ছিলো StealthFearzz, যেটা খুব ভালো একটা রেসপন্স পায়নি দর্শকদের কাছে। সেই সময় তার ভিডিওতে ৫০০ ভিউজও খুব কষ্ট করে আসতো। এর পিছনে তার অবশ্য একটা কারণ ছিলো। ২০১৩-১৪ সালে সবার কাছে ইন্টারনেট আজকের মতো এতো মুড়ি-মুড়কির বিষয় ছিলোনা।

Carryminati’s First Ever Channel on YouTube

তখনকার দিনের মানুষ একটা পাতি গান ডাইনলোড করার ক্ষেত্রেও ১০-১২ বার ভাবতো, ইউটিউব  ভিডিও তো অনেক দূরের কথা। তাই আমার মতে সেইজন্যই হয়তো অজয় সেইসময় তার চ্যানেলে এতো ভিউজ পায়নি।

এরপর তিনি ১৫ বছর বয়সে আরেকটা ইউটিউব  চ্যানেল খোলেন। যেটার নাম তিনি রাখেন Addicted A1. এই চ্যানেলটাতেও তিনি গেমিং ভিডিও আপলোড করতেন কিন্তু সেইসাথে আরেকটা জিনিসও তিনি করতেন সেটা হলো গেমিং কমেন্ট্রি।

তিনি ভিডিও গেমস খেলতে খেলতে সানি দেওল এবং ঋত্বিক রোশনের মতো বিখ্যাত বলিউড স্টারদের মিমিক্রি করতেন। দুই বছর কঠোর পরিশ্রমের পর তিনি সেই চ্যানেলে ১৫০ এর উপর ভিডিও আপলোড করে ফেলেন আর চ্যানেলও সেইসাথে ভালোই গ্রো হওয়া শুরু হয়ে যায়।

তিনি এইসময় একটা জিনিস লক্ষ্য করলেন, যেইসব মানুষ তার ভিডিও দেখতে আসতো তারা কেউই তার গেমের উপর ইন্টারেস্টেড ছিলো না যতটানা ছিল তার হাস্যকর কমেন্ট্রির উপর।

সেই জিনিসটাকে ধরতে পেরে এরপর অজয় সঙ্গে সঙ্গে নিজের চ্যানেলের নাম চেঞ্জ করে রেখে দেন CarryDeol. তিনি বিদেশি একটা চ্যানেল থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এরপর গেমিং কমেন্ট্রির সাথে সাথে অন্যান্য ছোটখাটো চ্যানেলের ভিডিও উপর রোস্টিং করাও শুরু করেন।

আরও পড়ুনঃ ইরফান খানের সংক্ষিপ্ত জীবনী

ভারতে যেহেতু এমন কনটেন্ট আগে কখনো মানুষ দেখেনি তাই তার কনটেন্ট লোকপ্রিয় হতে বেশি সময় নিলো না। কিছুদিনের মধ্যেই আগুনের মতো দ্রুত ছড়িয়ে পড়লো তার ভিডিও দর্শকদের মাঝে।  

কিন্তু তুমি কি জানো অজয়ের একটা স্পেশাল ভিডিওর জন্যই তার জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী হতে বাধ্য হয়। সেই ভিডিওটা যার উপর ছিলো সেও একজন ভারতেরও জনপ্রিও ইউটিউবার।

আমার মনে হয় তুমি এতক্ষনে ধরতে পেরেছো, আমি কার কথা বলছি। হ্যাঁ ঠিকই ধরেছো, bb ki vines ওরফে ভুবন বামই হচ্ছে সেই ব্যাক্তি ছিলো যাকে একটু ভয়ঙ্কর রোস্ট করে অজয়ের চ্যানেল একটা নতুন দিশা পায়।

যদিও সেই কাজের জন্য তাকে অনেক আক্রোশের সম্মুখীন হতে হয় ভুবনের ফ্যানদের কাছে। কিন্তু তাতে তার তেমন কোনো ক্ষতি হয়না বরং তার এতদিনের পরিশ্রম এবং কাজের প্রতি ডেডিকেশন অবশেষে সফলতা পায়। তারপর থেকে সত্যি বলতে তাকে আর পিছনে ফিরে মোটেই তাকাতে হয়না আজ অবধি।

অবশেষে শেষবারে জন্য অজয় তার নিজের চ্যানেলের নাম পরিবর্তন করে ফেলেন এবং রেখে দেন আজকের সময়ের সবচেয়ে চর্চিত নাম CarryMinati.

এরপর Carry অবশেষে নিজের স্কুল ছেড়ে দেন। পড়াশোনার দিকে তিনি আর এগোতে চাননি। একটা ওপেন স্কুল থেকে পরীক্ষা দিয়ে তিনি নিজের এরপর ১২ ক্লাস কমপ্লিট করেন।

এইসবের পিছনে সবচেয়ে বড় কথা হলো কি জানো, তার বাবা মায়ের সাপোর্ট। সেটা যদি তিনি না পেতেন তাহলে তিনি এইসব কিচ্ছু করতে পারতেন না। ভাগ্যক্রমে তিনি তার বাবা মায়ের সাপোর্ট পেয়েছিলেন বলেই তিনি নির্ভয়ে নিজের জীবনের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পেরেছেন।

সবার ক্ষেত্রে সেটা সম্ভব হয়ে ওঠেনা। আজও অনেকের মধ্যে হাজারো প্রতিভা থাকলেও বাবা মায়ের সাপোর্ট না পাওয়ার জন্য অনেকেরই সব কিছুই ছেড়ে দিতে হয়।

তুমি যদি বাবা মা হয়ে থাকো আর যদি আমার লেখা এখন পড়ে থাকো, তাহলে তোমাকে আমি অনুরোধ করছি নিজের ছেলে-মেয়ে কি হতে চায় তা একবারের জন্য হলেও শোনো আর তাদের সাপোর্ট করে দেখো।

সবসময় নিজের ইচ্ছাকে তাদের উপর জোড় করে চাপিয়ে দিওনা। এটা খারাপ জিনিস।

দিনের শেষে একটাই কথা, শুনতে হয়তো তোমার খারাপ লাগবে, কিন্তু তোমার অবশ্যই শোনার প্রয়োজন আছে আর সেটা হলো এই যে, নিজের সন্তানের ইচ্ছাকে কখনোই অবহেলা করোনা। তুমি ভেবো না তুমি বাবা মা বলে নিজের ছেলেমেয়ের ভালো খারাপ সম্পর্কে সবই জানো আর সবই বোঝো। তা কিন্তু মোটেই নয়। সবাই নিজের ভালো-মন্দ বোঝে, এমনকি তোমার ছেলেমেয়েও।

যাই হোক, আবার CarryMinati -এর কথায় ফিরে আসি। আজকের বিষয়ের থেকে বাইরে চলে যাচ্ছি।

অন্য মানুষদের নিয়ে রোস্টিং ভিডিও বানানোর ফলে অজয়ের চ্যানেল অনেকবার কপিরাইট স্ট্রাইকের সম্মুখীন হয়। একবার তো তার চ্যানেলে একসাথে পরপর ৩টে কপিরাইট স্ট্রাইক চলে আসে। চ্যানেল প্রায় শেষ হয়ে যেতে বসে। কিন্তু ভাগ্যক্রমে মানুষের ভালোবাসা এবং সাপোর্টের কারনে ইউটিউব তার চ্যানেল থেকে সেইসব কপিরাইট স্ট্রাইক সরাতে বাধ্য হয়।

এর কিছু বছর পর Carry নিজের আরেকটা চ্যানেল খোলেন CarryisLive নামে। সেখানে তিনি সম্পূর্ণভাবে গেমিং লাইভ স্ট্রিম করতে শুরু করেন। আজ সেই চ্যানেলও ভারতের সমস্ত বড় সব গেমিং চ্যানেলের মধ্যে একটা।

Credit: Beerbiceps YouTube Channel

Awards of CarryMinati:

1. ২০১৯ সালে টাইম ম্যাগাজিন কর্তৃক “10 Next Generation Leaders” পুরস্কার।

2.  ৫টি ইউটিউব ক্রিয়েটর পুরস্কার- ২টি সিল্ভার প্লে বটন (CarryMinati এবং CarryisLive), ২টি গোল্ডেন প্লে বটন (CarryMinati এবং CarryisLive), ১টি ডায়মন্ড প্লে বটন (CarryMinati).  

3. ২০২০ সালে ফোর্বস ম্যাগাজিন কর্তৃক 30 Under 30 in Asia পুরস্কার।  

আশা করি তুমি “Biography of CarryMinati in Bengali” পড়ে নিশ্চই অনেক কিছু সুন্দর তথ্য সম্পর্কে জানতে পেরেছো | পোস্টটা ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই একটু Comment করে তোমার মতামত আমায় জানিও | তোমার মূল্যবান মতামত আমাকে বাড়তি অনুপ্রেরণা যোগাতে ভীষনভাবে সাহায্য করে |

শেয়ার করুন: on Twitter on Facebook on Google+

জর্জ বার্নার্ড শয়ের উক্তি | Bangla Quotes of George Bernard Shaw

November 24, 2022 by maximios • Quotes

জর্জ বার্নার্ড শ ছিলেন একজন আইরিশ নাট্যকার, সমালোচক, বিসংবাদী এবং রাজনৈতিক কর্মী।

১৮৮০-এর দশক থেকে শুরু করে তার মৃত্যুর পরও পাশ্চাত্য মঞ্চনাটক, সংস্কৃতি ও রাজনীতিতে তার প্রভাব বিস্তৃত।

সমসাময়িক ব্যঙ্গরচনা থেকে শুরু করে ঐতিহাসিক রূপক কাহিনি দিয়ে তিনি তার প্রজন্মের অন্যতম নাট্যকার হিসেবে প্রসিদ্ধি অর্জন করেন এবং ১৯২৫ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।

তিনি লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্সের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। যদিও তার লেখালেখির শুরু সঙ্গীত সাংবাদিকতা ও সাহিত্য সমালোচনার মাধ্যমে।

কিন্তু তাঁর প্রতিভার সম্পূর্ণ বিকাশ ঘটে নাটকে, এছাড়াও তিনি ছিলেন একাধারে প্রাবন্ধিক, ঔপন্যাসিক এবং ছোট গল্পকার।

জর্জ বার্নার্ড শয়ের একটি মহৎ গুণ ছিল, আর তা হলো সামাজিক বিভিন্ন ধরনের সমস্যাগুলো হাস্যরসের ছদ্মাবরণে তিনি অত্যন্ত দক্ষ শিল্পীর হাতে ফুটিয়ে তুলতে পারতেন।

শিক্ষা, বিয়ে, ধর্ম, সরকার, স্বাস্থ্যসেবা এবং শ্রেণী-সুবিধাই ছিল জর্জ বার্নার্ড শয়ের লেখার বিষয়বস্তু। অধিকাংশ লেখাতেই শ্রমজীবী মানুষের শোষণের বিরুদ্ধে তাঁর অবস্থান ছিল সুস্পষ্ট।

একজন কট্টর সমাজতান্ত্রিক হিসেবে ফ্যাবিয়ান সোসাইটির পক্ষে তিনি অনেক বক্তৃতা দেন ও বিভিন্ন বই লেখেন।

এই বিশ্বের ইতিহাসে জর্জ বার্নার্ড শ এবং বব ডিলান হলেন এমন দুজন ব্যাক্তিত্ব যারা তাদের জীবদ্দশায় অস্কার এবং নোবেল দুটি পুরষ্কারই অর্জন করেছিলেন।

আসুন আজকে আমরা এই কালজয়ী চিন্তানায়ক এই জিনিয়াস দ্রষ্টার কিছু অমর বিশ্লেষণী উক্তি অধ্যয়ন করি এবং তার মাধ্যমে নিজেদের শিক্ষিত করি এবং জীবনে চলার অনুপ্রেরণা গ্রহণ করি।

জর্জ বার্নার্ড শয়ের অনুপ্রেরণামূলক উক্তিসমূহ
BANGLA QUOTES OF OF GEORGE BERNARD SHAW

INSPIRATIONAL QUOTE#1

“আশাবাদী এবং নৈরাশ্যবাদী দু’ধরনের মানুষেরই সমাজে অবদান আছে। আশাবাদীরা উড়োজাহাজ বানায় আর নৈরাশ্যবাদীরা প্যারাসুট বানায়। তাই কোনো মানুষকেই তার বাইরেটা দেখে কখনও বিচার করা উচিত নয়” – George Bernard Shaw

INSPIRATIONAL QUOTE#2

“মিথ্যা জ্ঞান অজ্ঞানতার চেয়ে বিপদজনক। তাই মিথ্যা জ্ঞান এবং মিথ্যা জ্ঞানীর থেকে সবসময় দূরত্ব বজায় রাখা উচিত।” – George Bernard Shaw

INSPIRATIONAL QUOTE#3

“দু’টো জিনিস থেকে তোমাকে চেনা যায়: একটি হচ্ছে নিঃস্ব অবস্থায় তোমার ধৈর্য আর অন্যটি হচ্ছে যখন তোমার সব আছে তখন তোমার আচরণ।তাই জীবনের এই দুই সময়ে নিজেকে শান্ত এবং সংযত রাখা খুবই জরুরী।” – George Bernard Shaw

INSPIRATIONAL QUOTE#4

“ইতিহাস থেকে আমরা যা শিক্ষা পাই তা হচ্ছে ইতিহাস থেকে মানুষ কোন শিক্ষা নেয় না।জীবনকে সফল এবং সার্থক করতে হলে ইতিহাস থেকে শিক্ষাগ্রহণ করা মানুষের অবশ্যই উচিত।” – George Bernard Shaw

INSPIRATIONAL QUOTE#5

“আর্থিক নিরাপত্তার জন্য করা বিবাহ হচ্ছে স্রেফ আইনসংগত বেশ্যাবৃত্তি।ভালোবাসা ছাড়া বিবাহ করা অর্থহীন এবং অযৌক্তিক একটি ব্যাপার।” – George Bernard Shaw

INSPIRATIONAL QUOTE#6

“জীবনে দুটি দুঃখ আছে। একটি হল তোমার ইচ্ছা অপূর্ণ থাকা, অন্যটি হল ইচ্ছা পূর্ণ হলে আরেকটির প্রত্যাশা করা।তাই জীবনে ইচ্ছার সীমা রাখা অবশ্যই উচিত।” – George Bernard Shaw

INSPIRATIONAL QUOTE#7

“প্রেম হল সিগারেটের মতো, যার আরম্ভ হল আগুন দিয়ে আর শেষ পরিণতি ছাইয়েতে।” – George Bernard Shaw

INSPIRATIONAL QUOTE#8

“অন্যের অটোগ্রাফ সংগ্রহ করে সময় নষ্ট না করে নিজেকে বরং উপযোগী করে তোল যাতে অন্যেরা তোমার অটোগ্রাফ সংগ্রহ করে।এটাই জীবনের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য হওয়া উচিত।” – George Bernard Shaw

INSPIRATIONAL QUOTE#9

“নতুন কিছু করাই তরুণের ধর্ম।তাই কোন মানুষের তার নিজের জীবনের তরুণ বয়সকে নষ্ট করা উচিত নয়।” – George Bernard Shaw

INSPIRATIONAL QUOTE#10

“হোটেলের সেরা ব্যাপার হলো এটি নিজের ঘর নয়। এতে থাকার এক আলাদাই রোমাঞ্চ আছে।” – George Bernard Shaw

INSPIRATIONAL QUOTE#11

“যখন একা থাকার অভ্যাস হয়ে যায় ঠিক তখনি সৃষ্টিকর্তা কিছু মানুষের সন্ধান দেন। যখন তাদেরকে নিয়ে ভালো থাকার অভ্যাস হয়ে যায়, ঠিক তখনি আবার একা হয়ে যেতে হয়। এইজন্যই বলে জীবনে সবকিছুই ক্ষণস্থায়ী।” – George Bernard Shaw

INSPIRATIONAL QUOTE#12

“বিজ্ঞান নতুন দশটি সমস্যা সৃষ্টি না করে কখনোই আগের একটি সমস্যার সমাধান বার করেনা।” – George Bernard Shaw

INSPIRATIONAL QUOTE#13

“যখন কোন মানুষ বলে যে টাকা সবকিছুই করতে পারে,তখন এটা পরিষ্কার হয়ে যায় যে সেই মানুষের কাছে টাকার খুবই অভাব আছে।” – George Bernard Shaw

INSPIRATIONAL QUOTE#14

“জীবনের অর্থ নিজেকে খোঁজা নয়।জীবনের অর্থ হল নিজেকে তৈরী করা।” – George Bernard Shaw

INSPIRATIONAL QUOTE#15

“তুচ্ছতাচ্ছিল্যর সেরা প্রত্যুত্তর হল নীরব থাকা।” – George Bernard Shaw

INSPIRATIONAL QUOTE#16

“জীবনে কোনোকিছু না করার থেকে ভুল করতে করতে জীবন কাটানো অনেক বেশী সার্থক এবং সম্মানজনক।” – George Bernard Shaw

INSPIRATIONAL QUOTE#17

“মানুষ যেমন নিজের মুখমণ্ডল দেখার জন্য কাঁচের আয়না ব্যাবহার করে,তেমন ভাবেই মানুষ নিজের অন্তরকে দেখার জন্য শিল্পকর্মের ব্যাবহার করে থাকে।” – George Bernard Shaw

INSPIRATIONAL QUOTE#18

“যে মানুষ নিজের মনের পরিবর্তন করতে পারেনা সে বিশ্বে আর কিছুই পরিবর্তন করতে পারেনা।” – George Bernard Shaw

INSPIRATIONAL QUOTE#19

“আপনার জীবনের নিয়ম এটাই হওয়া উচিত,যে বই আপনি নিজে পড়তে উৎসাহী নন সেই বই কখনও কোন বাচ্চাকেও পড়তে দেওয়া উচিত নয়।” – George Bernard Shaw

INSPIRATIONAL QUOTE#20

“সাধারণত মানুষ সেইসব জিনিসের ব্যাপারে জানতে উৎসাহী থাকে যেগুলোর ব্যাপারে জেনে তার কোন লাভ হবেনা।” – George Bernard Shaw

আশা করি তুমি “Bangla Quotes of George Bernard Shaw” পড়ে নিশ্চই অনেক কিছু সুন্দর তথ্য সম্পর্কে জানতে পেরেছো | পোস্টটা ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই একটু Comment করে তোমার মতামত আমায় জানিও | তোমার মূল্যবান মতামত আমাকে বাড়তি অনুপ্রেরণা যোগাতে ভীষনভাবে সাহায্য করে।

নিচে আরও কিছু মহান ব্যাক্তিদের উক্তি এবং জীবনীর লিঙ্ক নামসহ উল্লেখ করা আছে। এই লেখাটি পড়ে ভালো লাগলে বাকি লেখাগুলোও অবশ্যই পড়ে দেখো…

শেয়ার করুন: on Twitter on Facebook on Google+

হুমায়ূন আহমেদের জীবনী | Biography of Humayun Ahmed in Bengali

November 6, 2022 by maximios • Quotes

নাম

হুমায়ূন আহমেদ/Humayun Ahmed

জন্ম

১৩ নভেম্বর ১৯৪৮ মোহনগঞ্জ বাংলাদেশ

অভিভাবক

শহীদ ফয়জুর রহমান (বাবা)
আয়েশা ফয়েজ (মা)

দাম্পত্যসঙ্গী

গুলতেকিন খান (বি. ১৯৭৩; বিচ্ছেদ. ২০০৩)
মেহের আফরোজ শাওন (বি. ২০০৫)

সন্তান

নিশাদ হুমায়ূন নিনিত হুমায়ূননোভা আহমেদশীলা আহমেদবিপাশা আহমেদ

নুহাশ হুমায়ুন

বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ সব কথাসাহিত্যিকদের মধ্যে হুমায়ূন আহমেদ ছিলেন অন্যতম | তাঁর লেখা প্রতিটি সাহিত্যকর্ম আজও অনেক বাঙালী পাঠকদের অনেক প্রিয় | বাংলা কল্পবিজ্ঞান সাহিত্যের একমাত্র পথিকৃৎ তাঁকেই বলা হয় | তিনি একধারে যেমন ছিলেন একজন ঔপন্যাসিক অন্যদিকে আবার ছিলেন একজন লেখক, চলচ্চিত্র পরিচালক, গীতিকার, নাট্যকার ও রসায়নের অধ্যাপক | তাঁর প্রতিটা লেখা এবং চলচ্চিত্র বাংলাদেশ তথা বাংলার প্রত্যেকটি মানুষের অনেক কাছের |

Early Life of Humayun Ahmed:

হুমায়ূন আহমেদের জন্ম ১৯৪৮ সালের ১৩ই নভেম্বর তারিখে, বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলার অন্তর্গত নেত্রকোণা মহুকুমার মোহনগঞ্জে | তাঁর বাবা ছিলেন ফয়জুর রহমান এবং মা ছিলেন আয়েশা ফয়েজ | ফয়জুর রহমান ছিলেন একজন বাংলাদেশী পুলিশকর্মী যিনি কিনা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন কর্তব্যরত অবস্থায় শহীদ হন |

জানা যায়, তাঁর বাবার থেকেই তাঁর সাহিত্যচর্চায় উৎসাহ জন্মায় কারণ তাঁর বাবা শহীদ ফয়জুর রহমান ছিলেন ভীষন সাহিত্যানুরাগী মানুষ | তিনিও অনেক পত্র-পত্রিকার হয়ে লেখালেখি করতেন | বগুড়া থাকার সময় তিনি একটি গ্রন্থও প্রকাশ করেছিলেন যেটির তিনি নাম রাখেন ‘দ্বীপ নেভা যার ঘরে’|

হুমায়ূন আহমেদের মাও কিন্তু এই বিষয়ে কম ছিলেন না | তিনিও কিন্তু তাঁর শেষ জীবনে একটি আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ রচনা করেছিলেন, যেটির তিনি নাম রাখেন ‘জীবন যে রকম’ |

তাহলে ভাবো, এত প্রতিভাবান যার বাবা মা তাঁর সন্তান সুন্দর কথা সাহিত্যিক না হয়ে আর কি হতে পারে | তাঁর গোটা পরিবারই ছিলো সাহিত্যমনস্ক | তার বড় দাদা মুহম্মদ জাফর ইকবালও ছিলেন দেশের একজন শিক্ষাবিদ এবং কথাসাহিত্যিক আর সর্বকনিষ্ঠ ভাই আহসান হাবীবও ছিলেন রম্য সাহিত্যিক এবং কার্টুনিস্ট ।

হুমায়ূন আহমেদের কিন্তু দুই ভাই ছাড়াও তিন বোনও ছিলো | যাদের নাম ছিলো যথাক্রমে- সুফিয়া হায়দার, মমতাজ শহিদ, ও রোকসানা আহমেদ ।

Education Life of Humayun Ahmed:

হুমায়ূন আহমেদের শিক্ষা জীবন ভীষন পরিবর্তনশীল ছিলো | যেহেতু তাঁর বাবা একজন পুলিশকর্মী ছিলেন, সেহেতু তাঁর বাবাকে চাকরিসুত্রে দেশের অনেক জায়গায় বদলি করা হতো | আর তাঁর এই বারবার বদলির জন্যই তাঁর ছেলে হুমায়ূন আহমেদ দেশের বিভিন্ন স্কুলে লেখাপড়া করার সুযোগ পায় |

কিন্তু অনেক লেখা পরে জানা যায়, হুমায়ূন আহমেদের প্রাথমিক শিক্ষা বাংলাদেশের সিলেটের অন্তর্গত কিশোরী মোহন পাঠশালায থেকেই শুরু হয়েছিলো ১৯৫৫ সালে | সেখানে তিনি মাত্র চার বছর পড়াশোনা করেন | এরপর ১৯৬৩ সালে তিনি ভর্তি হন বগুড়া জিলা স্কুলে, নবম শ্রেণিতে পড়ার জন্য এবং ১৯৬৫ সালে ওই স্কুল থেকেই তিনি ম্যাট্রিক পরীক্ষা দেন ও সেই পরীক্ষায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন |

তারপর স্কুল শিক্ষা শেষ হলে তিনি এরপর ভর্তি হন ঢাকা কলেজে এবং সেখান থেকে বিজ্ঞান বিভাগে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন ।

আরো পড়ুন: জনপ্রিয় বাঙালীদের উক্তি

সেই পরীক্ষাতেও ভালো ফল করার পর তিনি সেই ঢাকা কলেজ থেকেই রসায়ন শাস্ত্র নিয়ে পড়াশোনা শুরু করেন এবং বিএসসি ও এমএসসি দুটিতেই ফার্স্টক্লাস পেয়ে ডিগ্রী লাভ করেন |

তিনি ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রফেসর হিসেবে নিজের কর্মজীবন শুরু করেন | সেই সময় তার বেতন ছিলো বেতন ছিলো ৬৫০ টাকা | তারপর ১৯৭৪ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করেন ও এই বছরেই বিচিত্রা পত্রিকার ঈদ সংখ্যায় প্রকাশিত হয় তার রচিত উপন্যাস “অচিনপুর” |

তারপর তিনি পাড়ি দেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, এবং সেখানকার নর্থ ডাকোটা স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে পলিমার রসায়ন বিষয়ে গবেষণা করে পিএইচডি লাভ করেন ।

Literary Life of Humayun Ahmed:

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা চলাকালীনই তিনি একটি উপন্যাস লিখে ফেলে তাঁর সাহিত্য জীবনের শুভারম্ভ ঘটান | তাঁর লেখা প্রথম প্রকাশিত উপন্যাসটির নাম হলো “নন্দিত নরকে” | কিন্তু এই উপন্যাসটি লেখার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি এটিকে প্রকাশ করতে পারেননি, তার প্রধান কারণ হলো ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ |

অবশেষে পরবর্তী বছর অর্থ্যাৎ ১৯৭২ সালে, কবি-সাহিত্যিক আহমদ ছফার উদ্যোগে উপন্যাসটি খান ব্রাদার্স কর্তৃক গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয় | এই উপন্যাসটির প্রচ্ছদ করেন মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও ভাস্কর শামীম শিকদার ।

কিন্তু যতই “নন্দিত নরকে” উপন্যাসটিকে হুমায়ূন আহমেদের প্রথম উপন্যাস বলা হোক না কেন, সেটি কিন্তু মোটেই তাঁর লেখা প্রথম উপন্যাস ছিলোনা | এটি লেখার অনেক আগেই তিনি লিখে ফেলেছিলেন  “শঙ্খনীল কারাগার” | কিন্তু সেইসময় সেটিকে তিনি প্রকাশ করতে পারেননি |

পরবর্তীকালে “নন্দিত নরকে” উপন্যাসটিকে সবার আগে প্রকাশ করার ফলেই সেটিই হয়ে যায় তাঁর লেখা প্রথম উপন্যাস |

তাঁর রচিত তৃতীয় উপন্যাসটি ছিলো বিজ্ঞান কল্পকাহিনীমূলক, “তোমাদের জন্য ভালোবাসা” যেটি  “বিজ্ঞান সাময়িকী” সাপ্তাহিক পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ পায় |

এবার তাহলে চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক তাঁর লেখা সমস্ত সৃষ্টিকর্ম গুলির উপর:

আমার আছে জল (১৯৮৫)
ফেরা (১৯৮৬)
প্রিয়তমেষু (১৯৮৮)
অনন্ত নক্ষত্র বীথি (১৯৮৮)
সম্রাট (১৯৮৮)
আকাশ জোড়া মেঘ  (১৯৮৯)
দ্বৈরথ (১৯৮৯)
সাজঘর (১৯৮৯)
এইসব দিনরাত্রি (১৯৯০)
সমুদ্র বিলাস (১৯৯০)
অয়োময় (১৯৯০)
বহুব্রীহি (১৯৯০)
কুহক (১৯৯১)
নীল অপরাজিতা (১৯৯১)
দুই দুয়ারী (১৯৯১)
আশাবরী (১৯৯১)
অনন্ত অম্বরে (১৯৯২)
কোথাও কেউ নেই (১৯৯২)
দি একসরসিস্ট (১৯৯২)
পাখি আমার একলা পাখি  (১৯৯২)
নিশিকাব্য (১৯৯২)
জলপদ্ম (১৯৯২)
আয়নাঘর (১৯৯২)
কৃষ্ণপক্ষ (১৯৯২)
জনম জনম (১৯৯৩)
আমার আপন আঁধার (১৯৯৩)
আমি এবং আমরা (১৯৯৩)
তুমি আমায় ডেকেছিলে ছুটির নিমন্ত্রণে  (১৯৯৩)
পিপলী বেগম (১৯৯৩)
জল জোছনা (১৯৯৩)
পোকা (১৯৯৩)
মন্দ্রসপ্তক (১৯৯৩)
তিথির নীল তোয়ালে (১৯৯৩)
নবনী (১৯৯৩)
এই আমি (১৯৯৩)
একি কাণ্ড! (১৯৯৩)
ছায়াবীথি (১৯৯৪)
জয়জয়ন্তী (১৯৯৪)
যখন গিয়েছে ডুবে পঞ্চমীর চাঁদ (১৯৯৪)
শ্রাবণ মেঘের দিন (১৯৯৪) 
গৌরীপুর জংশন (১৯৯৫)
পারুল ও তিনটি কুকুর (১৯৯৫)
পেন্সিলে আঁকা পরী (১৯৯৫)
সকল কাঁটা ধন্য করে (১৯৯৫)
কবি (১৯৯৬)
আমাদের শাদা বাড়ি (১৯৯৬)
জলকন্যা (১৯৯৬)
মহাপুরুষ (১৯৯৬)
সূর্যের দিন (১৯৯৬)
দূরে কোথায় (১৯৯৭)
রুমালী (১৯৯৭)
অপেক্ষা (১৯৯৭)
অন্ধকারের গান (১৯৯৭)
মেঘ বলেছে যাব যাব (১৯৯৭)
পরীর মেয়ে মেঘবতী (১৯৯৭)
বোকাভু (১৯৯৭)
কালো জাদুকর (১৯৯৮)
চৈত্রের দ্বিতীয় দিবস (১৯৯৮)
মীরার গ্রামের বাড়ি (১৯৯৮)
ইস্টিশন (১৯৯৯)
উদ্ভট গল্প (১৯৯৯)
এই মেঘ, রৌদ্রছায়া (১৯৯৯)
রূপার পালঙ্ক (১৯৯৯)
কানী ডাইনী (২০০০)
বৃষ্টি বিলাস (২০০০)
যদিও সন্ধ্যা (২০০০)
আজ চিত্রার বিয়ে (২০০১)
তেঁতুল বনে জোছনা (২০০১)
বৃষ্টি ও মেঘমালা (২০০১)
মৃন্ময়ী (২০০১)
কুটু মিয়া (২০০১)
নীল মানুষ (২০০২) 
আসমানীরা তিন বোন (২০০২)
বাসর (২০০২)
একজন মায়াবতী (২০০২)
উড়াল পঙ্খি (২০০২)
অচিনপুর (২০০২)
আজ আমি কোথাও যাবনা (২০০২)
রজনী (২০০৩)
একা একা (২০০৩)
প্রথম প্রহর (২০০৩)
দিনের শেষে (২০০৩)
নক্ষত্রের রাত (২০০৩)
আমি এবং কয়েকটি প্রজাপ্রতি (২০০৩)
এপিটাফ (২০০৪)
এই বসন্তে (২০০৫)
পঞ্চকন্যা (২০০৫)
লীলাবতী (২০০৫)
ছেলেটা (২০০৫)
অরণ্য (২০০৫)
কে কথা কয়? (২০০৬)
মৃন্ময়ীর মন ভালো নেই (২০০৬)
লিলুয়া বাতাস (২০০৬)
কিছুক্ষণ (২০০৭)
দেখা না দেখা (২০০৭)
আনন্দ বেদনার কাব্য (২০০৮)
মীর খাইয়ের অটোগ্রাফ (২০০৮) 
অঁহক (২০০৯)
আজ দুপুরে তোমার নিমন্ত্রণ (২০০৯)
চক্ষে আমার তৃষ্ণা (২০০৯)
দিঘির জলে কার ছায়াগো (২০০৯)
প্রিয় পদরেখা (২০০৯)
বৃক্ষকথা (২০০৯)
বাদল দিনের দ্বিতীয় কদমফুল (২০০৯)
বিরহগাথা – ১ (২০০৯)
বিরহগাথা – ২ (২০০৯)
বিরহগাথা – ৩ (২০০৯)
মানবী (২০০৯)
সানাউল্লার মহাবিপদ (২০০৯)
অন্যদিন (২০০৯)
অমানুষ (অনুবাদ) (২০০৯)
চাঁদের আলোয় কয়েকজন যুবক (২০০৯)
নলিনীবাবুর ঝপ (২০১০)
মাতাল হাওয়া (২০১০)
রূপা (২০১০)
ম্যাজিক মুন্সী (২০১০)
বাদশাহ নামদার (২০১১)

আরো পড়ুন: হুমায়ূন আহমেদের উক্তি

Married Life of Humayun Ahmed:

১৯৭৩ সালে হুমায়ূন আহমেদ গুলতেকিন খানের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন । তাঁর এই প্রথম পক্ষের স্ত্রীর তিন মেয়ে এবং এক ছেলে ছিলো । বড় মেয়ে নোভা আহমেদ, মেজো মেয়ে শীলা আহমেদ এবং ছোট মেয়ে বিপাশা আহমেদ ।

তার বড় ছেলের নাম নুহাশ হুমায়ুন । বাবার মত নুহাশও পরিচালনায় মনোনিবেশ করেন ।

এরপর ১৯৯০ সালের মধ্যভাগ থেকে তার বেশ কিছু নাটক-চলচ্চিত্রে অভিনয় করা অভিনেত্রী  মেহের আফরোজ শাওন সাথে হুমায়ূন আহমেদের ঘনিষ্ঠতা জন্মায় যারফলে অপরদিকে সৃষ্টি হয় পারিবারিক অশান্তি |

অবশেষে ২০০৩ সালে গুলতেকিনের সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদ হয়ে যায় এবং ঐ বছরেই তিনি শাওনকে বিয়েও করেন । এরপর তাদের দুজনের তিনটি সন্তান হয় | কিন্তু প্রথম কন্যাটি জন্মানোর সাথে সাথেই মারা যায় । সেই কন্যার নাম তিনি রাখতে চেয়েছিলেন লীলাবতী । তাঁর বাকি দুই সন্তানের নাম যথাক্রমে- নিষাদ হুমায়ূন ও নিনিত হুমায়ূন ।

Death of Humayun Ahmed:

২০১১ সালের সেপ্টেম্বের মাসে সিঙ্গাপুরে ডাক্তারী চিকিৎসা করার সময় তার দেহের মলাশয়ে ক্যান্সার ধরা পড়ে । যারপর তিনি নিউইয়র্কের মেমোরিয়াল স্লোয়ান-কেটরিং ক্যান্সার সেন্টারে চিকিৎসা গ্রহণে যান | প্রথমের দিকে তার চিকিৎসা প্রাথমিকভাবে সম্ভব হলেও তা অল্প সময়ের মধ্যেই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় ।

১২ দফা কেমোথেরাপি ও শেষে অস্ত্রোপচারের পর তাঁর কিছুটা শারীরিক উন্নতি হলেও, শেষ মুহূর্তে শরীরে অজ্ঞাত ভাইরাস আক্রমণ করায় তাঁর অবস্থা দ্রুত অবনতি ঘটে । এরপর কৃত্রিমভাবে লাইভ সাপোর্টে তাঁকে রাখার পর ১৯শে জুলাই ২০১২ তারিখে তিনি নিউ ইয়র্কের বেলেভ্যু হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ।

মৃত্যুর পর তাঁকে বাংলাদেশে আবার নিয়ে আসা হয় এবং সেখানে অবস্থিত নুহাশ পল্লীতে কবর দেওয়া হয় ।

আশা করি তুমি “Biography of Humayun Ahmed in Bengali” পড়ে নিশ্চই অনেক কিছু সুন্দর তথ্য সম্পর্কে জানতে পেরেছো | পোস্টটা ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই একটু Comment করে তোমার মতামত আমায় জানিও | তোমার মূল্যবান মতামত আমাকে বাড়তি অনুপ্রেরণা যোগাতে ভীষনভাবে সাহায্য করে |

শেয়ার করুন: on Twitter on Facebook on Google+

পেশা

লেখক, চলচ্চিত্র পরিচালক, গীতিকার, নাট্যকার, রসায়ন অধ্যাপক

ধর্ম

ইসলাম

উল্লেখযোগ্য রচনাবলি

অনন্ত নক্ষত্র বীথি, কোথাও কেউ নেই, পাখি আমার একলা পাখি, যখন গিয়েছে ডুবে পঞ্চমীর চাঁদ, আমাদের শাদা বাড়ি প্রভৃতি

উল্লেখযোগ্য পুরস্কার

একুশে পদক, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, বাংলা একাডেমি পুরস্কার

মৃত্যু

১৯ জুলাই ২০১২ নিউ ইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র (বয়স ৬৩)

অটল বিহারী বাজপেয়ীর জীবনী | Atal Bihari Vajpayee Biography

November 5, 2022 by maximios • Quotes

ভারতীয় রাজনীতির ইতিহাসে অটল বিহারী বাজপেয়ী হলেন এমন এক ব্যক্তিত্ব, যাঁর অবদান ভারতের প্রত্যেকটি নাগরীকের ভোলার নয় |

তাঁর জন্ম হয় ২৫শে ডিসেম্বর ১৯২৪ সালে ভারতের মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের গোয়ালিয়র শহরে | তাঁর বাবার নাম ছিল কৃষ্ণবিহারী বাজপেয়ী এবং মায়ের নাম ছিল কৃষ্ণা দেবী |

তাঁর বাবা কৃষ্ণবিহারী ছিলেন নিজের গ্রামের একসময়কার মহান কবি আর সেই সাথে ছিলেন একজন স্কুল শিক্ষক |

অটল বিহারীর শিক্ষা জীবন শুরু হয় গোয়ালিয়র জেলার একটি ছোট্ট স্কুল সরস্বতী শিশু মন্দির থেকে এবং তারপর তিনি সেখানে পড়াশোনা শেষ করে ভর্তি হন গোয়ালিয়রের লক্ষীবাঈ কলেজ |

তিনি সেখানে হিন্দি, ইংরাজী এবং সংস্কৃত বিষয়ের উপর পড়াশোনা করে নিজের Graduation সম্পূর্ণ করেন | তারপর কানপুরের দয়ানন্দ এংলো বৈদিক মহাবিদ্যালয় থেকে তিনি পলিটিক্যাল সায়েন্সে M.A সম্পূর্ণ করেন |

গোয়ালিয়রের আর্য কুমার সভা থেকে তিনি তাঁর রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন | তিনি সেই সময় আর্য সমাজের যুব শক্তি হিসেবে বিবেচিত হন এবং ১৯৪৪ সালে তিনি সেখানকার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহন করেন |

১৯৩৯ সালে একজন স্বেচ্ছাসেবকের মতো তিনি জাতীয় স্বেচ্ছাসেবী ইউনিয়নে (আরএসএস) যোগ দেন এবং সেখানে বাবাসাহেব আপ্তেকে দেখে প্রভাবিত হয়ে তিনি ১৯৪০-১৯৪৪ সাল পর্যন্ত আরএসএস ট্রেনিং ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ নেন | অবশেষে ১৯৪৭ সালে তিনি আরএসএসের একজন স্থায়ী কর্মী হয়ে ওঠেন ।

ভারতের বিভাজন যখন প্রায় নিশ্চিত, সেইসময় তিনি তাঁর Law এর পড়াশোনা মাঝখানেই ছেড়ে দেন এবং তাঁকে একজন প্রচারক রূপে উত্তরপ্রদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয় |

সেখানে তিনি দীনদয়াল উপাধ্যায়ের সাথে মিলে রাষ্ট্রধর্ম (হিন্দি মাসিক), পঞ্চজন্য (হিন্দি সাপ্তাহিক), দৈনিক স্বদেশ ও বীর অর্জুন নামক ইত্যাদি সব খবরের কাগজের হয়ে কাজ করতে থাকেন |

তুমি কি জানো? অটল বিহারী বাজপেয়ী কোনোদিন বিয়ে করেননি, সারাজীবনই তিনি অবিবাহিতই ছিলেন | কিন্তু তাঁর নমিতা নামে একটি মেয়ে ছিল যাকে তিনি দত্তক নিয়ে ছিলেন |

নমিতা, ভারতীয় সাংস্কৃতিক নৃত্য এবং গানকে বেশ পছন্দ করতেন এবং সেই সাথে তিনি প্রকৃতিপ্রেমীও ছিলেন বলে জানা যায় |

রাজনৈতিক জীবন – Atal Bihari Vajpayee Political Career

আমদের দেশের পূর্ব প্রধানমন্ত্রী শ্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী স্বাধীন ভারতীয় রাজনীতির এমন এক উজ্জ্বল ব্যক্তিত্ব ছিলেন, যাঁর রাজনৈতিক অবদান কোনোদিন ভোলার নয় |

একসময় ছিল যখন বাজপেয়ীর অমূল্য বক্তৃতা, দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুও একদম মুগ্ধ হয়ে শুনতেন |

তোমায় এটাও জানিয়েদি যে, তিনি একসময় ভারতের বিদেশ মন্ত্রী হিসাবেও নির্বাচিত হন |

যখন বিজেপির অস্তিত্ব ভারতীয় সংসদ থেকে প্রায় মুছে যাওয়ার জোগার, তখন বাজপেয়ীর নেতৃত্বেই বিজেপি আবার রাজিনীতিতে নতুন জীবন পায় এবং দেশে তাঁর দল ক্ষমতাও আসে |

১৯৬৮ থেকে ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত তিনি জনসংঘের সভাপতি ছিলেন এবং মরারজি দেসাইয়ের মন্ত্রিসভায়, তিনি পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রী হিসাবেও নিযুক্ত ছিলেন একসময় |

বিরোধী দলের অন্য সহকর্মীদের মতোই তাকেও জরুরী অবস্থার সময় জেলে পাঠানো হয়েছিল।

১৯৭৭ সালে ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষ থেকে তাঁকে বিদেশমন্ত্রী হিসাবে নিযুক্ত করা হয় ।

এই সময় তিনি যুক্তরাষ্ট্র অধিবেশনে গিয়ে হিন্দী ভাষায় নিজের বক্তব্য পেশ করেন যা তিনি তাঁর জীবনের একটি সেরা মুহূর্ত হিসেবে বর্ণনা করেছেন ।

১৯৮০ থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত তিনি বিজেপির সভাপতি ছিলেন এবং এই সময়ে তিনি বিজেপি পার্লামেন্টারি পার্টির নেতাও ছিলেন।

অটল বিহারী বাজপেয়ী এখনও পর্যন্ত নয়বার লোকসভায় নির্বাচিত হয়েছিলেন |

১৯৮৪ সালে তাঁকে গোয়ালিয় জেলার নির্বাচনে কংগ্রেসের একজন বিখ্যাত নেতা মাধবরাও সিন্ধিয়ার কাছে অনেক ভোট হারতে হয় | তিনি ১৯৬২ থেকে ১৯৬৭ এবং ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত রাজ্যসভার একজন সদস্য ছিলেন।

Read More: ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জীবনী

১৯৬৬ সালে ভারতীয় জনসাধারণ, রাজিনীতিতে একটি পরিবর্তনের আশায় ছিল, তাই বেশিরভাগ মানুষ অবশেষে তখন বিজেপিকে বিপুল ভোটে জয়ী করে আনলো |সেইসাথে প্রথমবারের জন্য অটল বিহারী বাজপেয়ীও ভারতের প্রধানমন্ত্রী হলেন |

কিন্তু এই প্রধানমন্ত্রীত্ব তাঁর বেশিদিন কপালে ছিলোনা | মাত্র ১৩ দিনের মাথায় সব কিছু শেষ হয়ে যায় |

কিন্তু এইসবের পরেও বাজপেয়ীর মনোবল একদমই ভাঙ্গেনি | তিনি আবার ১৯৮৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে তাঁর পার্টির বাকি সহকর্মীদের সাথে একজোট হয়ে, লোকসভায় তাঁর পার্টির সর্বাধিক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অবশেষে প্রমান করেন এবং আবার প্রধানমন্ত্রী হয়ে ওঠেন |

অটল বিহারী বাজপেয়ীর সময়ে, ভারত একটি পারমাণবিক শক্তি সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হয়ে ওঠে | তিনি পারস্পরিক বাণিজ্য ও ভ্রাতৃত্বকে উন্নীত করার জন্য পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের কাশ্মীর সমস্যা সমাধান করার অনেক চেষ্টা করেছিলেন ।

কিন্তু ১৩ মাস ব্যাপী মহান কর্মকান্ডের পর, তাঁর সরকার রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের কারণে মাত্র এক ভোটে হেরে যায় |

এরপর তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগ পত্র জমা দেন |

তারপর, ১৯৯৯ সালের সাধারণ নির্বাচনের আগে ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী হিসাবে তিনি, কার্গিল যুদ্ধে পাকিস্তানের নৃসংশ আচরণের পরিপ্রেক্ষিতে উপযুক্ত জবাব দেওয়ার ব্যবস্থা করেন এবং অবশেষে কার্গিলের যুদ্ধে ভারত জয়ের মুখ দেখে |

যুদ্ধ শেষে কিছুদিন পরেই,পুনরায় নির্বাচন হয় এবং জনগণের সমর্থনে তাঁর সরকার আবার পুন:গঠিত হয়।

প্রধানমন্ত্রী হিসাবে সেইসময় তিনি তাঁর ক্ষমতার কিছু বিশেষ পরিচয় দেন সকলের মাঝে।

Important work of Atal Bihari Vajpayee

  • ১৯৯৮ সালের ১১ই ও ১৩ই মে, পোখরানে পাঁচটি পারমাণু বোমার পরীক্ষামূলক বিস্ফোরণ ঘটিয়ে অটল বিহারী বাজপেয়ী ভারতকে পারমাণবিক শক্তি সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন |·
  • ১৯ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৯ সালে, পাকিস্তানের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার জন্য তিনি সদা-ই-সারহাদ নামে দিল্লী থেকে লাহৌর পর্যন্ত বাস ব্যবস্থা চালু করেন |
  • স্বর্ণ চতুর্ভুজ প্রকল্প
  • কাবেরী জল বিরোধের নিষ্পত্তি করেন, যেটা কিনা 100 বছরেরও বেশি সময়কার বিরোধ ছিল |

  • কাঠামোগত সৌধের জন্য বড় টাস্ক ফোর্স, বৈদুতিক উন্নয়নের জন্য কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ রেগুলেটরি কমিশন, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের জন্য তথ্য ও প্রযুক্তি কার্যসংস্থার গঠন ইত্যাদি তিনি করেন ।
  • দেশের সব বিমানবন্দর এবং জাতীয় সড়কের বিকাশ ও নতুন টেলিকম নীতি চালু করার মতো পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।
  •  আর্থিক উপদেষ্টা কমিটি, বাণিজ্য ও শিল্প কমিটি, জাতীয় নিরাপত্তা কমিটিও গঠন করেছিলেন, যারফলে কাজ খুব দ্রুত হতে থাকে দেশে |
  • urban ceiling act কে সমাপ্ত করে আবাস নির্মাণকে উৎসাহ দেন |
  • তিনি বীমা যোজনারও সূত্রপাত করেন যার ফলে গ্রামীণ কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয় এবং বিদেশে বসবাসকারী ভারতীয় বংশোদ্ভূতরা (NRI) ব্যাপক উপকৃত হয় |

অটল বিহারীর এই সরকার সফল ভাবে তার মেয়াদ শেষ করে এবং এর মাধ্যমে তিনি দেশে জোটের রাজনীতিকে এক নতুন মাত্রা দিয়েছিলেন | ওই পাঁচ বছরে, এনডিএ সরকার দরিদ্র, কৃষক এবং যুবকদের জন্য অনেক সুন্দর প্রকল্পের বাস্তবায়নও করেছিল |

তাঁর সরকার, ভারতের চার দিকে জাতীয় সড়কের মাধ্যমে সংযোগ স্থাপন করার জন্য স্বর্ণ চতুর্ভুজ প্রকল্পটি শুরু করে|

যারফলে দিল্লি, কলকাতা, চেন্নাই ও মুম্বাইয়কে জাতীয় সড়কের মাধ্যমে যুক্ত করা হয় | এরফলে ভারতের যোগাযোগ ব্যবস্থারও অনেক উন্নতি সাধন হয় |

অবিরাম অসুখের কারণে এরপর Atal Bihari Vajpayee রাজনীতি থেকে অবসর গ্রহণ করেন। অটলজী ভারতীয় রাজনীতিকে এক অন্য মাত্রায় নিয়ে চলে গেছিলেন, যা সবসময় মনে রাখার মত |

Read More:- ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডোর জীবনী

দেশ ও বিদেশে তাঁকে অনেক পুরস্কার ও সন্মানেও ভূষিত করা হয়েছিল| ২৫শে ডিসেম্বর ২০১৪ সালে, রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে বাজপেয়ীজীকে ভারতের সর্বোচ্চ সম্মান “ভারত রত্ন” হিসাবে ভূষিত ঘোষণা করা হয় ।

তাঁকে সম্মান জানাতে, ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জী নিজেই তাঁর বাড়ি ২৭ শে মার্চ ২০১৫ সালে গেছিলেন পুরস্কারটি দেওয়ার জন্য । তাঁর জন্মদিন ২৫শে ডিসেম্বরকে “good governance day” হিসাবে উদযাপন করা হয় সারা ভারতে।

Atal Bihari Vajpayee Awards

  • ১৯৯২ সাল: পদ্মভূষণ
  • ১৯৯৩ সাল: ডি.লিট (সাহিত্যে ডক্টরেট), কানপুর বিশ্ববিদ্যালয়
  • ১৯৯৪ সাল: লোকমান্য তিলক পুরস্কার,শ্রেষ্ঠ সংসদ হিসাবে পুরস্কার,ভারতরত্ন পন্ডিত গোবিন্দ বল্লভ পন্ত পুরস্কার
  • ২০১৫ সাল: ভারত রত্ন, মুক্তিযুদ্ধ পুরষ্কার (বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সম্মননা)

অটল বিহারী বাজপেয়ীর জীবনাবসান – Atal Bihari Vajpayee Death

অটল বিহারী বাজপেয়ী তাঁর শেষ নিঃস্বাস ত্যাগ করেন ১৬ই অগাস্ট ২০১৮ সালে, All India Institute of Medical Sciences (AIIMS) হাসপাতালে বিকেল ৫:০৫ মিনিটে | মৃত্যুর সময় তাঁর বয়স ছিল প্রায় ৯৩ বছর | | তাঁর মৃত্যুতে গোটা ভারতবর্ষের মানুষ আজ গভীর ভাবে শোকাহত |

Hope you find this post about “Biography of Atal Bihari in Bengali” useful and inspiring. if you like this Information About Atal Bihari Vajpayee then please share on Facebook & Whatsapp. And If You Want to Share Your Own Motivational Poems & Travel Stories, Then Please Check Out Here.

শেয়ার করুন: on Twitter on Facebook on Google+

গৌতম বুদ্ধের জীবনী | Gautam Buddha Biography in Bengali

September 21, 2022 by maximios • Quotes

গৌতম বুদ্ধের জীবনী
Gautam Buddha Biography in Bengali

নাম

সিদ্ধার্থ গৌতম/Siddhattha Gautama/Gautam Buddha

জন্ম

আনুমানিক ৫৬৩ খ্রিস্টপূর্ব অথবা ৪৮০ অব্দ,লুম্বিনী, নেপাল

অভিভাবক

শুদ্ধোধন (বাবা)
মায়া দেবী (মা)

দাম্পত্য সঙ্গী

যশোধারা

সন্তান

রাহুল

ধর্ম

বৌদ্ধ

অন্যনাম

শাক্যমুণি

মৃত্যু

আনুমানিক ৪৮৩ খ্রিস্টপূর্ব অথবা ৪০০ অব্দ,কুশীনগর,উত্তর প্রদেশ, ভারত (৮০ বছর)

ব্লগটা পড়তে না ভালো লাগলে এই অডিও পডকাস্টটা শোনো..

আমাদের পডকাস্ট চ্যানেলকে Subscribe করো এখানে ক্লিক করো

পৃথিবীতে যদি কোনো শান্তিপ্রিয় ধর্ম বলে কোনো ধর্ম থেকে থাকে তাহলে সেটা অবশ্যই বৌদ্ধ ধর্ম| এই ধর্ম গড়ে ওঠার পিছনে একজন মহান ব্যক্তির বিশাল বড় এক অবদান রয়েছে| যদিও তিনি তাঁর জীবনকালে কোনো ধর্মেরই প্রতিষ্ঠা করেননি কিন্তু তাঁকেই আমরা সবাই সেই ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা হিসাবে দেখি|

হ্যাঁ, তুমি ঠিকই ধরেছো; আমি বলছি সিদ্ধার্থ গৌতমের কথা| যাঁকে আমরা প্রত্যেকে গৌতম বুদ্ধ নামে চিনি|

তুমি কি জানো এই ‘বুদ্ধ’ শব্দটার অর্থ কি? যদি তা না জেনে থাকো তাহলে সবার আগে সেটা একটু জেনে নাও, তারপর না হয় তাঁর সম্পর্কে ভালোভাবে জানবে| সংস্কৃতে এই ‘বুদ্ধ’ শব্দটার অর্থ হচ্ছে পরম শাশ্বত বোধ বা পরমজ্ঞান লাভ| যে মানুষ এই জীবনে পরমজ্ঞান লাভ করতে পারে তাঁকে ‘বুদ্ধ’ বলা হয়|

তুমিও যদি এই জীবনে পরম শাশ্বত বোধ বা পরমজ্ঞান লাভ করতে কোনোদিন সক্ষম হও তাহলে তুমিও হয়ে যাবে পরবর্তী বুদ্ধ| এটা কোনো Title বা Surname নয়| তাঁর নাম মোটেই প্রথম থেকে গৌতম বুদ্ধ ছিলো না, তাঁর আসল নাম ছিলো সিদ্ধার্থ গৌতম| পরে যখন তিনি পরমজ্ঞান লাভ করেন তারপর থেকেই তিনি পরিণত হন গৌতম বুদ্ধে|

আশা করি তোমায় পরিষ্কার করে বোঝাতে পারলাম এই বিষয়টা|

তুমি আরেকটা বিষয়ও জানলে অবাক হবে যে, পৃথিবীতে তিনি কিন্তু একমাত্র বুদ্ধ ছিলেন| তাঁর আগেও এই পৃথিবীতে অনেক বুদ্ধ জন্ম নিয়েছেন| পৃথিবীর জন্মলগ্ন থেকে আজ অবধি যেসব বুদ্ধরা ছিলেন, তাঁদের নাম ছিলো যথাক্রমে- তৃষঙ্কর বুদ্ধ, মেধঙ্কর বুদ্ধ, শরণংকর বুদ্ধ, দীপঙ্কর বুদ্ধ, কোন্ডণ্য বুদ্ধ, সুমঙ্গল বুদ্ধ, সুমন বুদ্ধ, রেবত বুদ্ধ, সোভিত বুদ্ধ, অনোমদর্শী বুদ্ধ, পদুম বুদ্ধ, নারদ বুদ্ধ, পদুমুত্তর বুদ্ধ, সুমেধ বুদ্ধ, সুজাত বুদ্ধ, প্রিয়দর্শী বুদ্ধ, অর্থদর্শী বুদ্ধ, ধর্মদর্শী বুদ্ধ, সিদ্ধার্থ বুদ্ধ, তিষ্য বুদ্ধ, ফুসস্ বুদ্ধ, বিপশ্য বুদ্ধ, সিখী বুদ্ধ, বেসাভু বুদ্ধ, কুকুসন্ধ বুদ্ধ, কোণাগমন বুদ্ধ, কশ্যপ বুদ্ধ|

তাঁদের প্রত্যেকের সম্পর্কে সম্পূর্ণ জানতে হলে এখানে ক্লিক করে তা জেনে নিতে পারো|

এবার তবে জানা যাক গৌতম বুদ্ধের সম্পর্কে|

Early life of Gautama Buddha:

ইতিহাস ঘাটলে গৌতম বুদ্ধের জন্ম সম্পর্কে একদম নির্ভুল তথ্য মোটেই পাওয়া যায়না| যতটুকু জানা যায় তাঁর বেশিরভাগটাই লোক কথার অন্তর্গত| কিন্তু তবুও সিংহলী ইতিবৃত্ত,  ললিত বিস্তার, জাতক ও অশ্ব ঘোষের লেখা বুদ্ধ চরিত প্রভৃতি গ্রন্থ ঐতিহাসিকবীদদের এক্ষেত্রে অনেকটাই সাহায্য করেছে|

সেইসব পড়লে জানা যায় গৌতম বুদ্ধের জন্ম হয় তৎকালীন অখন্ড ভারতবর্ষে অবস্থিত লুম্বিনীর জেলার কপিলাবস্তুতে নগরে, আনুমানিক ৫৬৩ খ্রিস্টপূর্ব অথবা ৪৮০ অব্দে|(বর্তমানে লুম্বিনি আজ নেপালের অন্তর্গত)

সেখানে আরো লেখা আছে যে তিনি নাকি শাক্য রাজবংশে জন্মগ্রহণ করেছিলেন| তাঁর বাবার নাম ছিলো শুদ্ধোধন এবং মায়ের নাম ছিলো মায়া দেবী| শাক্যমত অনুসারে এটাও বলা হয় যে, মায়া দেবী গর্ভাবস্থা থাকাকালীন যখন শশুরবাড়ি থেকে বাপের বাড়ির উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন তখন নাকি তিনি তরাই অঞ্চলেরে অন্তর্গত লুম্বিনী গ্রামে এক শালগাছের তলায় সিদ্ধার্থের জন্ম দেন কিন্তু সিদ্ধার্থের জন্মের মাত্র সাতদিনের মধ্যেই তিনি মারা যান|

এরপর থেকে ছোট্ট সিদ্ধার্থ তাঁর মাসি গৌতমীর কাছে লালিত পালিত হন| অনেকে মনে করেন তাঁর নামের “গৌতম” অংশটি তাঁর মাসির নাম থেকেই এসেছে| কিন্তু এই কথাটা কতটা সত্য, সেই বিষয়ে কারোর এখনো অবধি জানা নেই|

যাই হোক, গৌতমের জন্মের পর রাজা শুদ্ধোধন অনেক প্রসিদ্ধ সন্ন্যাসী এবং গনৎকারদের আমন্ত্রণ করেন| কিন্তু প্রত্যেকেই সেই ছোট্ট শিশুকে দেখে এটাই ভবিষ্যদ্বাণী করেন যে তার সেই শিশু একদিন সন্ন্যাসী হয়ে ধর্মের প্রচার করবেন এবং একজন গুনী সিদ্ধপুরুষে পরিণত হবেন|

এই কথা শোনার পর রাজা শুদ্ধোধন অনেক চেষ্টা করেছিলেন সেই ভবিষ্যদ্বাণীকে আটকাবার তাইতো তিনি তাঁর ছেলেকে সংসারে মন বসানোর উদ্দেশ্যে মাত্র ষোলো বছর বয়সেই বিয়ে দিয়ে দেন যশোধারা নামের এক রাজকুমারীর সাথে| তাঁদের একটা ছেলেও হয় এবং সেই ছেলের তাঁরা নাম রাখেন রাহুল|

আরো পড়ুন: গৌতম বুদ্ধের বাণী

কিন্তু হাজার সাংসারিক করার চেষ্টা করলেও, হাজারও বিলাসীতার মধ্যে তাঁকে রেখে দিলেও রাজা শুদ্ধোধন সেই গনৎকারদের বলে যাওয়া ভবিষ্যদ্বাণীকে ঘটতে একদমই আটকাতে পারেননি|

অবশেষে যখন গৌতমের প্রায় উনত্রিশ বছর বয়স, তখন তিনি আর নিজেকে এই সাংসারিক মায়াজালের মধ্যে আবদ্ধ রাখতে না পেরে, সেইসমস্ত কিছুকে ত্যাগ করে আত্মজ্ঞানের উদ্দেশ্যে রাজমহল ত্যাগ করে চলে যান| বৌদ্ধ ধর্মানুসারে এই ঘটনাকে বলা হয় “মহানিস্ক্রমন”|

Ascetic life and Awakening of Gautama Buddha:

কথিত আছে রাজমহল ত্যাগ করার পর সিদ্ধার্থ গৌতম সর্বপ্রথম আলার কালাম নামে এক যোগগুরুর কাছে যোগ শিক্ষা গ্রহণ করেন| কিন্তু যোগশিক্ষা গ্রহন করার পরে তখনও তিনি তাঁর মনের সেই অজানা প্রশ্নের সন্তোষজনক উত্তর পাননা|

তাই তিনি এরপর সেইস্থান ত্যাগ করে অপর আরেকজন যোগীর কাছে যান যাঁর নাম ছিলো উদ্দক রামপুত্র| কিন্তু এবারও তাঁর হাতে লাগে সেই হতাশা| আবারও তিনি তাঁর সেই অজানা প্রশ্নের সন্তোষজনক উত্তর পাননা|

এরপর তিনি জানতে পারেন যে, শরীরকে অপরিসীম কষ্ট দিয়ে কঠোর তপস্যার মাধ্যমে নাকি মুক্তিলাভ হয়| তাই তিনি আর সময় নষ্ট না করে, তাঁর সাথে থাকা অন্য পাঁচজন তপস্বীকে নিয়ে প্রায় ছয় বছর কঠোর তপস্যায় লীন হন| শরীরকে এই ছয় বছরে তিনি ভীষন কষ্ট দেন| অনশন থেকে শুরু করে, শারীরিক নিপীড়ন কোনোটাই বাদ যায়না|

এইভাবে দীর্ঘদিন ধরে শরীরকে লাগাতার সীমাহীন কষ্ট দিয়ে তপস্যা করার পর তবুও তিনি বোধিলাভ করতে পারেন না| মরনাপন্ন পরিস্থিতি উপস্থিত হওয়ার পর তিনি বুঝতে পারেন যে এই পন্থা মোটেই সঠিক এবং উচ্চমানের নয়| এতে শরীর ও মন এই দুইয়েরই ক্ষতি হয়|

ধর্মচক্রপ্রবর্তন সূত্রানুসারে বলা হয়েছে, তিনি এই ঘটনার পর নিজের মনে এটা উপলব্ধি করেন, অসংযত বিলাসবহুল জীবনযাপন এবং কঠোর তপস্যার মধ্যবর্তী একটা পথের সন্ধান করে বোধিলাভ হওয়া সম্ভব|

তাই তিনি আর সময় নষ্ট না করে এরপর থেকে আবার ঠিকমতো খাদ্য গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেন ও সুজাতা নাম্নী নামে এক স্থানীয় গ্রাম্য মেয়ের কাছ থেকে একবাটি পরমান্ন আহার করেন।

যেটা দেখে অবশ্য তাঁর বাকি পাঁচজন সঙ্গী ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁর সঙ্গ ত্যাগ করে চলে যান|

অবশেষে সেই ঘটনার পর তিনি এবার নদীতে স্নান করতে যান ও তা সম্পন্ন করে পুনরায় ধ্যানে বসেন একটা অশ্বত্থ গাছের তলায় এবং প্রতিজ্ঞা করেন সত্যলাভ না হওয়া পর্যন্ত সেইস্থান স্থানত্যাগ না করার| এইভাবে উনপঞ্চাশ দিন একটানা ধ্যান করার পর তিনি শেষমেষ বোধিলাভ করতে সক্ষম হন|

বোধিলাভের পর তিনি জীবনের দুঃখ ও তার কারণ এবং সেইসাথে সেটার প্রতিকারের উপায় সম্পর্কে জ্ঞানলাভ করেন|

Evangelism by Gautama Buddha:

বোধিজ্ঞান লাভের পর গৌতম বুদ্ধ এবার তাঁর সেই জ্ঞানকে প্রসার ও মানুষের দুঃখ নিবারণের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন| যাত্রাপথে তাঁর সাথে তপুস্স ও ভল্লিক নামে দুজন ব্যবসায়ীর সাক্ষাৎ হয়| বলা হয় এরাই নাকি তাঁর প্রথম দুই সাধারণ শিষ্য ছিলেন|

অবশেষে পথ চলতে চলতে তিনি এরপর পৌছান বারানসীতে| সেখানে গিয়ে তিনি সাক্ষাত করেন তাঁর সেই পাঁচজন প্রাক্তন সঙ্গীদের সাথে, যারা তাঁকে একসময় ছেড়ে চলে গেছিলেন| তাদেরকেই নাকি তিনি সর্বপ্রথম বোধিজ্ঞান লাভের পর শিক্ষা প্রদান করেন,  যা বৌদ্ধ ঐতিহ্যে ধর্মচক্রপ্রবর্তন নামেও খ্যাত| প্রতি বছর আটমাস তিনি বিভিন্ন স্থানে ধর্ম প্রচার করতেন ও বাকি চার মাস গৃহী শিষ্যদের বাড়িতে কাটাতেন

ধীরে ধীরে সময়ের সাথে সাথে লোকসমাজে তাঁর জনপ্রিয়তা বাড়তে শুরু করে| অনেক মানুষ তাঁর শরণাপন্ন হয়ে জীবনে আশার আলো খুঁজে পান| এরমধ্যে অনেকেই আবার তাঁর শিষ্যত্বও গ্রহণ করেন|

সেইসময়কার বড় বড় সম্রাট থেকে শুরু করে সমাজের নিম্ন স্তরের মানুষ পর্যন্ত প্রত্যেকেই তাঁর কাছ থেকে জ্ঞান লাভের জন্য মুখিয়ে থাকতেন| বুদ্ধ কিন্তু কোনোদিনই কাউকে তাঁর জ্ঞানের থেকে বঞ্চিত করেননি| সবাইকেই সমান মনে করে সেইসব দান করে গেছেন একদম প্রাণভরে|

আরো পড়ুন: বুদ্ধের ৯ উপদেশ

এরপর দেখতে দেখতে বুদ্ধের শিষ্যের সংখ্যা বাড়তে শুরু করে| বুদ্ধের দশজন প্রধান শিষ্য হয়ে ওঠেন যথাক্রমে- মহাকশ্যপ, সারিপুত্র,  মৌদ্গল্যায়ন,  আনন্দ, অনুরুদ্ধ, রাহুল, উপলি,  মহাকাত্যায়ন, পুণ্ণ ও সুভূতি|

Nirvana of Gautama Buddha:

জ্ঞানলাভ ও সেটার প্রসারের উদ্দেশ্যে সারাজীবন ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করার পর গৌতম বুদ্ধ অবশেষে প্রায় আশি বছর বয়সে বৈশাখী পূর্ণিমা তিথিতে উত্তরপ্রদেশের কুশীনগরে দেহত্যাগ করেন| সালটা ছিলো আনুমানিক ৪৮৩ খ্রিস্টপূর্ব অথবা ৪০০ অব্দ| দেহত্যাগের আগে তাঁর শিষ্যদের প্রতি তাঁর অন্তিম উপদেশ ছিলো “বয়ধম্মা সঙ্খারা অপ্পমাদেন সম্পাদেথা” অর্থ্যাৎ “সকল জাগতিক বস্তুর বিনাশ আছে। অধ্যবসায়ের মাধ্যমে নিজের মুক্তির জন্য সংগ্রাম করো।”

আশা করি তুমি “Gautam Buddha Biography in Bengali” পড়ে নিশ্চই অনেক কিছু সুন্দর তথ্য সম্পর্কে জানতে পেরেছো | পোস্টটা ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই একটু Comment করে তোমার মতামত আমায় জানিও | তোমার মূল্যবান মতামত আমাকে বাড়তি অনুপ্রেরণা যোগাতে ভীষনভাবে সাহায্য করে |

শেয়ার করুন: on Twitter on Facebook on Google+

রানী রাসমণির জীবনী | Rani Rashmoni Biography in Bengali

August 17, 2022 by maximios • Quotes

রানী রাসমণির জীবনী
Rani Rashmoni Biography in Bengali

রানী রাসমণির নাম আশা করি তুমি নিশ্চই জানো | মহিয়সী এই নারী একদিকে যেমন ছিলেন একজন সমাজ সেবক ঠিক তেমনই অন্যদিকে তিনি ছিলেন একজন ঈশ্বরপ্রেমী মানুষও |

আশা করি তুমি বাংলার জনপ্রিয় টিভি সিরিয়াল “করুণাময়ী রানী রাসমণির” মাধ্যমে তাঁর রঘুবীরের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভক্তির কথা জানতেই পেরেছ |

তিনি কিন্তু রঘুবীর ছাড়াও মা কালীরও ভক্ত ছিলেন তাইতো সেই সুবাদে তিনি, পরবর্তীকালে দক্ষিণেশ্বরে একটি কালী মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন ১৮৫৫ সালে, যেটাকে আজ আমরা সবাই দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দির হিসাবেও চিনি |

দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দির

রানী রাসমণির জন্ম হয় ২৬ সেপ্টেম্বর ১৭৯৩ সালে, বর্তমান উত্তর ২৪ পরগণার হালিশহরে অবস্থিত কোণা নামক একটা ছোট্ট গ্রামে | তাঁর বাবার নাম ছিলো হরেকৃষ্ণ দাস আর মায়ের নাম ছিলো রামপ্রিয়া দাসী |

জানা যায় হরেকৃষ্ণ দাস ছিলেন পেশায় একজন সাধারন দরিদ্র কৃষক ও গৃহনির্মাণকারী | ছোটবেলায় রাসমণির নাম তাঁর মা রামপ্রিয়া দাসীই প্রথম ভালোবেসে “রানী” রেখেছিলেন | পরে তাদের প্রতিবেশীদের দৌলতেই তাঁর নাম হয়ে যায় রানী রাসমণি |

রাসমণি কিন্তু অতি অল্প বয়সেই বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন | তিনি মাত্র ১১ বছর বয়সেই কলকাতার যানবাজারের জমিদার রাজচন্দ্র দাসের সাথে বিয়ে করেন, সালটা ছিলো ১৮০৪ খ্রিষ্টাব্দ |

এবার তোমার হয়তো এটা জানতে নিশ্চই ইচ্ছা করছে যে, কি করে রানী রাসমণির মত একটা গরিব পরিবারের মেয়ে, রাজচন্দ্র দাসের মতো এক ধনী ব্যবসায়ী তথা জমিদারকে বিয়ে করলো?

শোনা যায়, বাবু রাজচন্দ্র দাস নাকি ব্যবসায়িক কাজের সুত্রে একদিন ত্রিবেণীতে যাচ্ছিলেন, যেতে যেতে তিনি হঠাৎই পাশের গঙ্গার ঘাটে এক ১১ বছর বয়সই মেয়েকে দেখতে পান, যে সেখানে স্নান করতে এসেছিলো |

তাঁর রূপ ও মুখের লাবন্য দেখে সদ্য যৌবন প্রাপ্ত যুবক রাজচন্দ্র তাঁর প্রেমে পরে যান | সেইদিন রাজচন্দ্র আর ত্রিবেণীর উদ্দেশ্যে যেতে পারেননি এবং পুণরায় বাড়ি ফিরে আসেন |

এরপরেও তিনি আরো বেশ কিছুবার হালিশহরে, রাসমণির গ্রামে এসেছিলেন | সেখানে তিনি রাসমণির রূপ ও লাবন্য ছাড়াও তেজস্বীনী এবং দুয়ালু রূপের সাথেও পরিচিত হন | যারফলে তিনি রানীকে আরো গভীরভাবে ভালোবেসে ফেলেন |

অবশেষে রাজচন্দ্র দাস, তাঁর বাড়ির অনেক গুরুজনদের অমত থাকার পরেও রানীকে বিয়ে করে আনেন সেখানে | রাজচন্দ্র দাস ও রানী রাসমণির মোট ৫টা সন্তান হয়, যার মধ্যে তাদের প্রথম সন্তান জন্মের কিছু সময় পরেই মারা যায় | সে ছিলো তাদের প্রথম পুত্র সন্তান |

তাদের বাকি ৪টে সন্তানই ছিলো মেয়ে | যাদের নাম যথাক্রমে- পদ্মামনি,কুমারি,করুণা এবং জগদম্বা রাখা হয় |

আরো পড়ুন: বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জীবনী

রানী রাসমণি ও রাজচন্দ্র দুজনেই ভীষন দুয়ালু প্রকৃতির মানুষ ছিলেন | গরিব, দুঃখী, ভিক্ষুক কিংবা ক্ষুধার্ত মানুষ প্রত্যেকেরই রানী রাসমণি ও রাজচন্দ্র সেবা করে যেতেন মন প্রাণ উজার করে | কেউই অবহেলিত হতনা তাদের দয়া ও ভালোবাসা থেকে |

রাসমণি ও তাঁর স্বামী পরিবারের বেশিরভাগ সম্পদ সামাজিক কর্মকান্ড, ধর্মীয় ও দাতব্য প্রতিষ্ঠানে ব্যয় করে দিতেন | এতে অবশ্য তাদের পরিবারের অনেকেই বিভিন্নভাবে অমত প্রকাশ করতেন কিন্তু তাতে তাঁরা দুজনে কোনোদিনই মানুষের সেবা বন্ধ করেননি |

জনসাধারণের জন্য স্নানঘাটের অসুবিধা দূর করতে তিনি বহু টাকা ব্যয় করে ফেলেন | তিনি ও তাঁর স্বামী রাজচন্দ্র, নিজের টাকায় কলকাতার বাবুঘাটকে বাঁধাতে সক্ষম হন | এরপর তারা তৈরী করেন আহিরীটোলা স্নানঘাট ও নিমতলা স্নানঘাটও |

কোলকাতার বাবুঘাট

এছাড়া বাবু রোড নির্মান সহ নিমতলা শ্মশান ঘাটে নিজের পারিবারিক জমির উপর পাকা বাড়ি নির্মানও করেন তারা |

রাসমণির উদ্যোগে তৈরী সবচেয়ে বিখ্যাত নিদর্শন হলো দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দির, যেটা আমি লেখার শুরুতেই উল্লেখ করেছি | কিন্তু আজ যে তুমি দক্ষিণেশ্বরের কালী মন্দির দেখছ, সেটা তৈরীর পেছনেও রাসমণিকে সমাজের উচ্চবর্ণের মানুষদের কাছ থেকে অনেক কথা শুনতে হয়েছিলো |

যেহেতু রাসমণির পিতৃ পক্ষের পরিবার সেইসময়কার সমাজ ব্যবস্থা অনুযায়ী নিম্নবর্ণের ছিলো তাই সমস্ত ব্রাহ্মণ সমাজ দক্ষিণেশ্বরের কালী মন্দির নির্মানের কাজে প্রথমে বাঁধা সৃষ্টি করে | কিন্তু তাতে বিশেষ লাভ হয়নি, কারণ রাসমণি ব্রাহ্মণ সমাজের বাঁধা তোয়াক্কা না করে কালী মন্দির নির্মানের কাজ চালিয়ে যান |

পরে, দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দিরের নির্মান কাজ শেষ হলে সেই মন্দিরের প্রধান পুরোহিত হিসাবে শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসকে নিযুক্ত করা করা হয় |

এরপর আসি ১৮২০ সালে, বাংলায় তখন ভয়াবহ বন্যা | সেইসময় অনেক সাধারণ মানুষই বন্যার কবলে পরে নিজের বাড়ি-ঘর সহ সকল সম্পত্তি হারিয়েছিল | দয়াময়ী রানী রাসমণি প্রতিবারের মত সেইবারেও জনসাধারণের উদ্দেশ্যে প্রচুর টাকা ব্যয় করেন |

জানা যায় সেই বছরেই রানী রাসমণির বাবা হরেকৃষ্ণ দাসও মারা যান | যেহেতু হরেকৃষ্ণের কোনো ছেলে সন্তান ছিলো না তাই সেহেতু  রাসমণিই, মেয়ের কর্তব্য অনুসারে বাবার পরলৌকিক ক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য গঙ্গার ঘাটে যান |

রানী রাসমণি ও রাজচন্দ্র দাসের বৈবাহিক জীবন বেশিদিন দীর্ঘস্থায়ী হয়নি | রাজচন্দ্র দাস মাত্র ৪৯ বছর বয়সে মারা যান |  স্বামীর এই মৃত্যুতে রাসমণি ভীষনভাবে ভেঙ্গে পরেন | শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার মানুষটা যে এত কম বয়সে চলে যাবেন, তা তিনি কখনো ভাবতেও পারেননি |

আরো পড়ুন: ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জীবনী

আসলে যদি আজ আমরা ভালোভাবে বিচার করে দেখি, তাহলে আমরা এটা নিশ্চই বুঝে যাবো যে, রাসমণির এই বিশাল জনহিতকর কর্মকান্ডের পিছনে তাঁর স্বামী রাজচন্দ্রের অবদান ছিলো প্রচুর |

রাজচন্দ্র তাঁর স্ত্রীকে কোনদিনও জনহিতকর কাজ করার ক্ষেত্রে কোনোভাবেই বাঁধা দেননি | সর্বদাই তাঁকে উৎসাহ দেওয়ার পাশাপাশি, পাশেও থেকেছেন একজন বন্ধুর মতো |

ঠিক একইভাবে রাসমণিও তাঁর স্বামীর প্রত্যেকটা পদক্ষেপে পাশে থেকেছেন | কোথাও ভুল করলে, স্বামীকে শুধরেও দিয়েছেন সদ পরামর্শের মাধ্যমে |

আগেকার দিনে স্বামীর কথাই ছিলো, প্রতেকটা স্ত্রীয়ের কাছে একদম শেষ কথা | স্বামীকে পরামর্শ দেওয়ার ভাবনাও ছিলো, একজন স্ত্রীয়ের কাছে বড় বিপদের |

কিন্তু রাজচন্দ্র দাস ছিলেন একদমই অন্য স্বভাবের মানুষ | তিনি আধুনিক ধ্যান ধারনায় বিশ্বাসী ছিলেন | তিনি নারীদের সন্মান দেওয়ার পাশাপাশি তাদের শ্রদ্ধাও করতেন ভীষনভাবে | তাই তিনি তাঁর স্ত্রীর পরামর্শকে শুনতেন এবং মেনেও চলতেন প্রয়োজন মতো |

এবার তবে জানা যাক রানী রাসমণির জীবনে ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনার সম্পর্কে:

১. জগন্নাথ দেবের পুজো উপলক্ষে একবার রানী রাসমণি, তাঁর পরিবার ও দাস-দাসীদের নিয়ে জগন্নাথ ধামের উদ্দেশ্যে (পুরী) যাচ্ছিলেন | যেতে যেতে তিনি লক্ষ্য করেন যে, সেখানকার রাস্তা ভীষনই খারাপ | বাকি তীর্থ যাত্রীদের খুব কষ্ট হচ্ছে সেই পথ ধরে তীর্থের উদ্দেশ্যে যেতে | সেই দেখে রানীর মন ভীষন দুঃখে ভরে ওঠে |

পরে তিনি তাদের সুবিধার কথা চিন্তা করে সমস্ত রাস্তা সংস্কার করে দেন | কিন্তু এখানেই তিনি থেমে থাকেননি, তখনকার সময় অনুযায়ী প্রায় ৬০ হাজার টাকা ব্যয় করে তিনি জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা এই তিন বিগ্রহের জন্য হীরক খচিত তিনটি মুকুটও তৈরি করে দেন |

রাসমণির যানবাজারের বাড়ি

২. সারা ভারতে তখন ব্রিটিশ শাসন, বাংলার ইংরেজরা গঙ্গা নদীতে জেলেদের মাছ ধরার ক্ষেত্রে চড়া শুল্ক আদায় করে চলেছে | বাংলার দরিদ্র জেলেদের অবস্থা প্রায় বিপন্ন | অবশেষে রানী রাসমণি এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেন এবং ইংরেজ সরকারকে চাপ দেন শুল্ক তোলার জন্য |

রাসমণির জেদের আগে ইংরেজ সরকারকেও হার মানতেই হয় | তারপর ইংরেজ সরকার জেলেদের গঙ্গায় মাছ ধরার বিনিময়ে শুল্ক নেওয়া বন্ধ করে অবশেষে | এরপর জেলেদের মাছ ধরার সুবিধার্থে গঙ্গায় চলাচলকারী কয়েকটি স্টিমার সার্ভিস বন্ধ করতেও তিনি সক্ষম হন | যারজন্য তাঁকে প্রচুর টাকাও ব্যয় করতে হয়েছিলো |

৩. তুমি আশা করি এটা জানোই যে, ব্রিটিশ আমলে ভারতীয়দের দিয়ে নীলচাষ করানো হত | একবার এক ইংরেজ নীলকর সাহেব বর্তমান বাংলাদেশের মকিমপুর অঞ্চলের মানুষজনদের, জোর করে নীলচাষ করানোর জন্য ভীষন অত্যাচার করতে থাকে |

এই কথা জানতে পেরে রানী রাসমণি ছুটে যান সেখানকার মানুষদের সাহায্য করতে | পুণরায় তাঁরই হস্তক্ষেপে সবকিছু বন্ধ হয়ে যায় আগের মতো | তিনি প্রজাদের উন্নতির জন্য প্রায় এক লক্ষ টাকা খরচ করে একটা খাল খনন করে দেন যারফলে মধুমতী নদীর সঙ্গে গঙ্গার সংযোগ স্থাপন হয় |

এরপর পর পরই তিনি কলকাতায় এসে বেলেঘাটা এবং ভবানীপুরে বাজার স্থাপন করেন আর কালিঘাট নির্মান করেন |

রানী রাসমণির শ্বেত মূর্তি

রানী রাসমণি ছিলেন একজন দৃঢ় স্বভাবের নারী | তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি, সমসাময়িক বাকি নারীদের থেকে অনেক বেশি পরিনত ছিলো | তাঁর সবচেয়ে বড় গুন ছিলো, তিনি যেই কাজকে একবার সঠিক বলে মনে করতেন, সেই কাজকে তিনি সম্পূর্ণ করেই ছাড়তেন যতই বাঁধা বিপত্তি আসুক না কেন |

তিনি আমাদের শিখিয়েছেন, মানুষের সেবা কীভাবে ভক্তিপূর্বক করতে হয় | তিনি কোনদিনও জনসাধারণের থেকে তাঁর সেবার বিনিময়ে কিচ্ছু পাওয়ার আশা করেননি বরং তাদেরই সর্বদা উপহার হিসাবে দিয়ে গেছেন বিভিন্ন জিনিস |

আরো পড়ুন: সন্দীপ মহেশ্বরীর জীবনী

তাঁর মহান কর্মই তাঁকে আজ করে তুলেছে সকলের কাছে চিরস্মরনীয় |

অর্থের সঠিক ব্যবহার, তাঁর কাছ থেকেই আমাদের প্রতেক্যের শেখা উচিত | কারন বর্তমানে এমন অনেক মানুষই আছে, যারা টাকা তো উপার্জন করছে প্রচুর কিন্তু সেটা শুধু নিজেদেরই জন্য |

অসহায় মানুষদের সাহায্যের কথা ভাবা, তাদের কাছে শুধু সময়ের অপচয় ছাড়া আর কিছুই নয় | যদি সেইসব মানুষরা আজ রানী রাসমণির মতো মানুষদের সেবা করতে শুরু করে, তাহলে ভারতে একসময় কেউ আর দরিদ্র, ক্ষুধার্ত ও অসহায় থাকবে না |

অবশেষে ১৮৬১ সালের ১৯শে ফেব্রুয়ারী, প্রায় ৬৮ বছর বয়সে এই মহান মহিয়সী নারীর জীবনাবসান হয় |

আশা করি তুমি “Rani Rashmoni Biography in Bengali” পড়ে নিশ্চই অনেক কিছু সুন্দর তথ্য সম্পর্কে জানতে পেরেছো | পোস্টটা ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই একটু Comment করে তোমার মতামত আমায় জানিও | তোমার মূল্যবান মতামত আমাকে বাড়তি অনুপ্রেরণা যোগাতে ভীষনভাবে সাহায্য করে |

শেয়ার করুন: on Twitter on Facebook on Google+

Motivational Archives – Ajob Rahasya

August 17, 2022 by maximios • Quotes

1 2 3 4›»

Sempre più utenti scelgono di registrarsi presso un Casino non AAMS per godere di maggiore libertà di gioco e bonus internazionali non disponibili sui siti con licenza ADM.


Mange danske spillere vælger i dag at tilgå spil uden om rofus for at få adgang til flere bonusser og mindre kontrol fra myndighederne.

Recent Posts

  • Ajob Rahasya – A Magazine For Super Positive People
  • 30 Best Sheikh Hasina Quotes In Bengali | শেখ হাসিনার উক্তি
  • সুকুমার রায়ের জীবনী | Sukumar Roy Biography in Bengali
  • ক্যারিমিনাটির সংক্ষিপ্ত জীবনী | Biography of CarryMinati in Bengali
  • জর্জ বার্নার্ড শয়ের উক্তি | Bangla Quotes of George Bernard Shaw

Recent Comments

No comments to show.

Archives

  • March 2023
  • November 2022
  • September 2022
  • August 2022
  • May 2022
  • April 2022
  • March 2022
  • February 2022
  • January 2022
  • November 2021
  • October 2021
  • September 2021
  • May 2021
  • February 2021
  • January 2021
  • December 2020
  • November 2020
  • October 2020
  • September 2020
  • August 2020
  • July 2020

Categories

  • Quotes
© reebokcrossfitone.com 2025
Powered by WordPress • Themify WordPress Themes